০১৭. সূরা বনী ইসরাঈল
আয়াতঃ ১১১; রুকুঃ ১২; মাক্কী
﴿بِسْمِ اللَّهِ
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ﴾
পরম
করুণাময়
মেহেরবানী আল্লাহর নামে
﴿سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ
بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي
بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا ۚ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ﴾
১। পবিত্র তিনি যিনি নিয়ে গেছেন এক রাতে নিজের বান্দাকে
মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্সা পর্যন্ত, যার পরিবেশকে তিনি বরকতময়
করেছেন, যাতে তাকে নিজের কিছু নিদর্শন দেখান।১ আসলে তিনিই সবকিছুর শ্রোতা
ও দ্রষ্টা।
﴿وَآتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ
وَجَعَلْنَاهُ هُدًى لِّبَنِي إِسْرَائِيلَ أَلَّا تَتَّخِذُوا مِن دُونِي وَكِيلًا﴾
২। আমি ইতিপূর্বে মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম এবং তাকে বনী
ইসরাঈলের জন্য পথনির্দেশনার মাধ্যমে করেছিলাম২ এ তাকীদ সহকারে যে,
আমাকে ছাড়া আর কাউকে নিজের অভিভাবক করো না।৩
﴿ذُرِّيَّةَ مَنْ حَمَلْنَا
مَعَ نُوحٍ ۚ إِنَّهُ كَانَ عَبْدًا شَكُورًا﴾
৩। তোমরা তাদের আওলাদ যাদেরকে আমি নূহের সাথে নৌকায়
উঠিয়েছিলাম৪ এবং নূহ একজন কৃতজ্ঞ বান্দা ছিল।
﴿وَقَضَيْنَا إِلَىٰ بَنِي
إِسْرَائِيلَ فِي الْكِتَابِ لَتُفْسِدُنَّ فِي الْأَرْضِ مَرَّتَيْنِ وَلَتَعْلُنَّ
عُلُوًّا كَبِيرًا﴾
৪। তারপর আমি নিজের কিতাবে৫ বনী ইসরাঈলকে এ মর্মে
সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে, তোমরা দুবার পৃথিবীতে বিরাট বিপর্যয়
সৃষ্টি করবে এবং ভীষণ বিদ্রোহাত্মক আচরণ করবে।৬
﴿فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ أُولَاهُمَا
بَعَثْنَا عَلَيْكُمْ عِبَادًا لَّنَا أُولِي بَأْسٍ شَدِيدٍ فَجَاسُوا خِلَالَ الدِّيَارِ
ۚ وَكَانَ وَعْدًا مَّفْعُولًا﴾
৫। শেষ পর্যন্ত যখন এদের মধ্য থেকে প্রথম বিদ্রোহের সময়টি এলো
তখন হে বনী ইসরাঈল! আমি তোমাদের মুকাবিলায় নিজের এমন একদল বান্দার আবির্ভাব ঘটালাম, যারা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী
এবং তারা তোমাদের দেশে প্রবেশ করে সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এক একটি প্রতিশ্রুতি ছিল, যা পূর্ণ হওয়াই ছিল অবধারিত।৭
﴿ثُمَّ رَدَدْنَا لَكُمُ
الْكَرَّةَ عَلَيْهِمْ وَأَمْدَدْنَاكُم بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَجَعَلْنَاكُمْ
أَكْثَرَ نَفِيرًا﴾
৬। এরপর আমি
তোমাদেরকে তাদের ওপর বিজয় লাভের সুযোগ করে দিয়েছি এবং তোমাদেরকে সাহায্য করেছি
অর্থ ও সন্তানের সাহায্যে আর তোমাদের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছি।৮
﴿إِنْ أَحْسَنتُمْ
أَحْسَنتُمْ لِأَنفُسِكُمْ ۖ وَإِنْ أَسَأْتُمْ فَلَهَا ۚ فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ
الْآخِرَةِ لِيَسُوءُوا وُجُوهَكُمْ وَلِيَدْخُلُوا الْمَسْجِدَ كَمَا دَخَلُوهُ
أَوَّلَ مَرَّةٍ وَلِيُتَبِّرُوا مَا عَلَوْا تَتْبِيرًا﴾
৭। দেখো, তোমরা ভালো কাজ করে থাকলে তা
তোমাদের নিজেদের জন্যই ভাল ছিল আর খারাপ কাজ করে থাকলে তোমাদের নিজেদেরই জন্য তা
খারাপ প্রমাণিত হবে। তারপর যখন পরবর্তী
প্রতিশ্রুতির সময় এসেছে তখন আমি অন্য শত্রুদেরকে তোমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছি, যাতে তারা তোমাদের চেহারা
বিকৃত করে দেয় এবং (বায়তুল মাকদিসের) মসজিদে এমনভাবে ঢুকে পড়ে যেমন প্রথমবার
শত্রুরা ঢুকে পড়েছিল আর যে জিনিসের ওপরই তাদের হাত পড়ে তাকে ধ্বংস করে রেখে দেয়।৯
﴿عَسَىٰ رَبُّكُمْ أَن
يَرْحَمَكُمْ ۚ وَإِنْ عُدتُّمْ عُدْنَا ۘ وَجَعَلْنَا جَهَنَّمَ لِلْكَافِرِينَ
حَصِيرًا﴾
৮। এখন
তোমাদের রব তোমাদের প্রতি করুণা করতে পারেন। কিন্তু
যদি তোমরা আবার নিজেদের আগের আচরণের পুনরাবৃত্তি করো তাহলে আমিও আবার আমার শাস্তির
পুনরাবৃত্তি করবো। আর নিয়ামত অস্বীকারকারীদের জন্য আমি
জাহান্নামকে কয়েদখানা বানিয়ে রেখেছি।১০
﴿إِنَّ هَٰذَا الْقُرْآنَ
يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ
الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا كَبِيرًا﴾
৯। আসলে এ
কুরআন এমন পথ দেখায় যা একেবারেই সোজা। যারা একে
নিয়ে ভাল কাজ করতে থাকে তাদেরকে সে সুখবর দেয় এ মর্মে যে, তাদের জন্য বিরাট প্রতিদান
রয়েছে।
﴿وَأَنَّ الَّذِينَ لَا
يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا﴾
১০। আর যারা
আখেরাত মানে না তাদেরকে এ সংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য আমি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির
ব্যবস্থা করে রেখেছি।১১
﴿وَيَدْعُ الْإِنسَانُ
بِالشَّرِّ دُعَاءَهُ بِالْخَيْرِ ۖ وَكَانَ الْإِنسَانُ عَجُولًا﴾
১১। মানুষ
অকল্যাণ কামনা করে সেভাবে-যেভাবে কল্যাণ কামনা করা উচিত। মানুষ বড়ই
দ্রুতকামী। ১২
﴿وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ
وَالنَّهَارَ آيَتَيْنِ ۖ فَمَحَوْنَا آيَةَ اللَّيْلِ وَجَعَلْنَا آيَةَ
النَّهَارِ مُبْصِرَةً لِّتَبْتَغُوا فَضْلًا مِّن رَّبِّكُمْ وَلِتَعْلَمُوا
عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ ۚ وَكُلَّ شَيْءٍ فَصَّلْنَاهُ تَفْصِيلًا﴾
১২। দেখো, আমি রাত ও দিনকে দু’টি
নিদর্শন বানিয়েছি। রাতের নিদর্শনকে বানিয়েছি আলোহীন এবং
দিনের নিদর্শনকে করেছি আলোকোজ্জ্বল, যাতে তোমরা তোমাদের রবের অনুগ্রহ তালাশ
করতে পারো এবং মাস ও বছরের হিসেব জানতে সক্ষম হও। এভাবে আমি
প্রত্যেকটি জিনিসকে আলাদাভাবে পৃথক করে রেখেছি।১৩
﴿وَكُلَّ إِنسَانٍ
أَلْزَمْنَاهُ طَائِرَهُ فِي عُنُقِهِ ۖ وَنُخْرِجُ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
كِتَابًا يَلْقَاهُ مَنشُورًا﴾
১৩। প্রত্যেক
মানুষের ভালমন্দ কাজের নিদর্শন আমি তার গলায় ঝুলিয়ে রেখেছি ১৪ এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য
বের করবো একটি লিখন, যাকে সে
খোলা কিতাবের আকারে পাবে।
﴿اقْرَأْ كِتَابَكَ
كَفَىٰ بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيبًا﴾
১৪। পড়ো, নিজের আমলনামা, আজ নিজের হিসেব করার জন্য
তুমি নিজেই যথেষ্ট।
﴿مَّنِ اهْتَدَىٰ فَإِنَّمَا
يَهْتَدِي لِنَفْسِهِ ۖ وَمَن ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا ۚ وَلَا تَزِرُ
وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۗ وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّىٰ نَبْعَثَ
رَسُولًا﴾
১৫। যে
ব্যক্তিই সৎপথ অবলম্বন করে, তার সৎপথ অবলম্বন তার নিজের জন্যই
কল্যাণকর হয়। আর যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হয়, তার পথভ্রষ্টতার ধ্বংসকারিতা
তার ওপরই বর্তায়। ১৫ কোনো বোঝা
বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না।১৬ আর আমি (হক ও বাতিলের
পার্থক্য বুঝাবার জন্য) একজন পয়গম্বর না পাঠিয়ে দেয়া পর্যন্ত কাউকে আযাব দেই না।১৭
﴿وَإِذَا أَرَدْنَا أَن
نُّهْلِكَ قَرْيَةً أَمَرْنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُوا فِيهَا فَحَقَّ عَلَيْهَا
الْقَوْلُ فَدَمَّرْنَاهَا تَدْمِيرًا﴾
১৬। যখন আমি
কোনো জনবসতিকে ধ্বংস করার সংকল্প করি তখন তার সমৃদ্ধিশালী লোকদেরকে নির্দেশ দিয়ে
থাকি, ফলে তারা
সেখানে নাফরমানী করতে থাকে আর তখন আযাবের ফায়সালা সেই জনবসতির ওপর বলবত হয়ে যায়
এবং আমি তাকে ধ্বংস করে দেই।১৮
﴿وَكَمْ أَهْلَكْنَا مِنَ
الْقُرُونِ مِن بَعْدِ نُوحٍ ۗ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ بِذُنُوبِ عِبَادِهِ خَبِيرًا
بَصِيرًا﴾
১৭। দেখো, কত মানব গোষ্ঠী নূহের পরে
আমার হুকুমে ধ্বংস হয়ে গেছে। তোমার রব নিজের বান্দাদের
গুনাহ সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন এবং তিনি সবকিছু দেখছেন।
﴿مَّن كَانَ يُرِيدُ
الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهُ فِيهَا مَا نَشَاءُ لِمَن نُّرِيدُ ثُمَّ جَعَلْنَا
لَهُ جَهَنَّمَ يَصْلَاهَا مَذْمُومًا مَّدْحُورًا﴾
১৮। যে কেউ
আশু লাভের১৯ আকাঙ্ক্ষা করে, তাকে আমি এখানেই যাকিছু দিতে
চাই দিয়ে দেই, তারপর তার
ভাগে জাহান্নাম লিখে দেই, যার উত্তাপ সে ভুগবে নিন্দিত ও ধিকৃত হয়ে।২০
﴿وَمَنْ أَرَادَ
الْآخِرَةَ وَسَعَىٰ لَهَا سَعْيَهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَٰئِكَ كَانَ
سَعْيُهُم مَّشْكُورًا﴾
১৯। আর যে
ব্যক্তি আখেরাতের প্রত্যাশী হয় এবং সে জন্য প্রচেষ্টা চালায়, যেমন সে জন্য প্রচেষ্টা
চালানো উচিত এবং সে হয় মুমিন, এ ক্ষেত্রে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির
প্রচেষ্টার যথোচিত মর্যাদা দেয়া হবে।২১
﴿كُلًّا نُّمِدُّ
هَٰؤُلَاءِ وَهَٰؤُلَاءِ مِنْ عَطَاءِ رَبِّكَ ۚ وَمَا كَانَ عَطَاءُ رَبِّكَ
مَحْظُورًا﴾
২০। এদেরকেও
এবং ওদেরকেও, দু দলকেই
আমি (দুনিয়ায়) জীবন উপকরণ দিয়ে যাচ্ছি, এ হচ্ছে তোমার রবের দান এবং তোমার রবের
দান রুখে দেবার কেউ নেই।২২
﴿انظُرْ كَيْفَ
فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ ۚ وَلَلْآخِرَةُ أَكْبَرُ دَرَجَاتٍ
وَأَكْبَرُ تَفْضِيلًا﴾
২১। কিন্তু
দেখো, দুনিয়াতেই
আমি একটি দলকে অন্য একটির ওপর কেমন শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে রেখেছি এবং আখেরাতে তার
মর্যাদা আরো অনেক বেশী হবে এবং তার শ্রেষ্ঠত্বও আরো অধিক হবে।২৩
﴿لَّا تَجْعَلْ مَعَ
اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ فَتَقْعُدَ مَذْمُومًا مَّخْذُولًا﴾
২২। আল্লাহর
সাথে দ্বিতীয় কাউকে মাবুদে পরিণত করো না। ২৪ অন্যথায় নিন্দিত ও অসহায়-বান্ধব
হারা হয়ে পড়বে।
﴿وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا
تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ
عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا
تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا﴾
২৩। তোমার রব
ফায়সালা করে দিয়েছেনঃ২৫ (১) তোমরা
কারোর ইবাদাত করো না, একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করো।২৬ (২) পিতামাতার সাথে ভালো
ব্যবহার করো। যদি তোমাদের কাছে তাদের কোনো একজন বা উভয়
বৃদ্ধ অবস্থায় থাকে, তাহলে
তাদেরকে “উহ্” পর্যন্তও বলো না এবং তাদেরকে ধমকের সুরে জবাব দিয়ো না বরং তাদের
সাথে মর্যাদা সহকারে কথা বলো
﴿وَاخْفِضْ لَهُمَا
جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي
صَغِيرًا﴾
২৪। আর দয়া ও
কোমলতা সহকারে তাদের সামনে বিনম্র থাকো এবং দোয়া করতে থাকো এই বলেঃ হে আমার
প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে
প্রতিপালন করেছিলেন।
﴿رَّبُّكُمْ أَعْلَمُ
بِمَا فِي نُفُوسِكُمْ ۚ إِن تَكُونُوا صَالِحِينَ فَإِنَّهُ كَانَ
لِلْأَوَّابِينَ غَفُورًا﴾
২৫। তোমাদের
রব খুব ভালো করেই জানেন তোমাদের মনে কি আছে। যদি তোমরা
সৎকর্মশীল হয়ে জীবন যাপন করো, তাহলে তিনি এমন লোকদের প্রতি ক্ষমাশীল
যারা নিজেদের ভুলের ব্যাপারে সতর্ক হয়ে বন্দেগীর নীতি অবলম্বন করার দিক ফিরে আসে।২৭
﴿وَآتِ ذَا الْقُرْبَىٰ
حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيرًا﴾
২৬। (৩) আত্মীয়কে
তার অধিকার দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরকেও তাদের অধিকার দাও।
﴿إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ
كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ ۖ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا﴾
২৭। (৪) বাজে
খরচ করো না। যারা বাজে খরচ করে তারা শয়তানের ভাই আর
শয়তান তার রবের প্রতি অকৃতজ্ঞ।
﴿وَإِمَّا تُعْرِضَنَّ
عَنْهُمُ ابْتِغَاءَ رَحْمَةٍ مِّن رَّبِّكَ تَرْجُوهَا فَقُل لَّهُمْ قَوْلًا
مَّيْسُورًا﴾
২৮। (৫) যদি
তাদের থেকে (অর্থাৎ অভাবী, আত্মীয়-স্বজন, মিসকীন ও মুসাফির) তোমাকে মুখ ফিরিয়ে নিতে
হয় এজন্য যে, এখনো তুমি
প্রত্যাশিত রহমতের সন্ধান করে ফিরছো, তাহলে তাদেরকে নরম জবাব দাও।২৮
﴿وَلَا تَجْعَلْ يَدَكَ
مَغْلُولَةً إِلَىٰ عُنُقِكَ وَلَا تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ
مَلُومًا مَّحْسُورًا﴾
২৯। (৬) নিজের
হাত গলায় বেঁধে রেখো না এবং তাকে একেবারে খোলাও ছেড়ে দিয়ো না, তাহলে তুমি নিন্দিত ও অক্ষম
হয়ে যাবে।২৯
﴿إِنَّ رَبَّكَ يَبْسُطُ الرِّزْقَ
لِمَن يَشَاءُ وَيَقْدِرُ ۚ إِنَّهُ كَانَ بِعِبَادِهِ خَبِيرًا بَصِيرًا﴾
৩০। তোমার রব
যার জন্য চান রিযিক প্রশস্ত করে দেন আবার যার জন্য চান সংকীর্ণ করে দেন। তিনি
নিজের বান্দাদের অবস্থা জানেন এবং তাদেরকে দেখছেন।৩০
﴿وَلَا تَقْتُلُوا
أَوْلَادَكُمْ خَشْيَةَ إِمْلَاقٍ ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَإِيَّاكُمْ ۚ إِنَّ
قَتْلَهُمْ كَانَ خِطْئًا كَبِيرًا﴾
৩১। (৭) দারিদ্রের
আশংকায় নিজেদের সন্তান হত্যা করো না। আমি
তাদেরকেও রিযিক দেবো এবং তোমাদেরকেও। আসলে
তাদেরকে হত্যা করা একটি মহাপাপ।৩১
﴿وَلَا تَقْرَبُوا
الزِّنَا ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا﴾
৩২। (৮) যিনার
কাছেও যেয়ো না, ওটা
অত্যন্ত খারাপ কাজ এবং খুবই জঘন্য পথ।৩২
﴿وَلَا تَقْتُلُوا
النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ ۗ وَمَن قُتِلَ مَظْلُومًا
فَقَدْ جَعَلْنَا لِوَلِيِّهِ سُلْطَانًا فَلَا يُسْرِف فِّي الْقَتْلِ ۖ إِنَّهُ
كَانَ مَنصُورًا﴾
৩৩। (৯) আল্লাহ
যাকে হত্যা করা হারাম করে দিয়েছেন, ৩৩ সত্য
ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করো না। ৩৪ আর যে ব্যক্তি মজলুম অবস্থায়
নিহত হয়েছে তার অভিভাবককে আমি কিসাস দাবী করার অধিকার দান করেছি। ৩৫ কাজেই হত্যার ব্যাপারে তার
সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়, ৩৬ তাকে
সাহায্য করা হবে।৩৭
﴿وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ
الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ حَتَّىٰ يَبْلُغَ أَشُدَّهُ ۚ
وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ ۖ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُولًا﴾
৩৪। (১০) ইয়াতীমের
সম্পত্তির ধারে কাছে যেয়ো না, তবে হ্যাঁ সুদপায়ে, যে পর্যন্ত না সে বয়োপ্রাপ্ত
হয়ে যায়।৩৮ (১১) প্রতিশ্রুতি
পালন করো, অবশ্যই
প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে।৩৯
﴿وَأَوْفُوا الْكَيْلَ
إِذَا كِلْتُمْ وَزِنُوا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ ۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌ
وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا﴾
৩৫। (১২) মেপে
দেবার সময় পরিমাপ পাত্র ভরে দাও এবং ওজন করে দেবার সময় সঠিক দাঁড়িপাল্লায় ওজন করো।৪০ এটিই ভালো পদ্ধতি এবং
পরিণামের দিক দিয়েও এটিই উত্তম।৪১
﴿وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ
لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ
كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا﴾
৩৬। (১৩) এমন
কোনো জিনিসের পেছনে লেগে যেয়ো না সে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই।
নিশ্চিতভাবেই চোখ, কান ও দিল
সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।৪২
﴿وَلَا تَمْشِ فِي
الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّكَ لَن تَخْرِقَ الْأَرْضَ وَلَن تَبْلُغَ الْجِبَالَ
طُولًا﴾
৩৭। (১৪) যমীনে
দম্ভভরে চলো না। তুমি না যমীনকে চিরে ফেলতে পারবে, না পাহাড়ের উচ্চতায় পৌঁছে
যেতে পারবে।৪৩
﴿كُلُّ ذَٰلِكَ كَانَ
سَيِّئُهُ عِندَ رَبِّكَ مَكْرُوهًا﴾
৩৮। এ
বিষয়গুলোর মধ্য থেকে প্রত্যেকটির খারাপ দিক তোমার রবের কাছে অপছন্দনীয়।৪৪
﴿ذَٰلِكَ مِمَّا أَوْحَىٰ
إِلَيْكَ رَبُّكَ مِنَ الْحِكْمَةِ ۗ وَلَا تَجْعَلْ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ
فَتُلْقَىٰ فِي جَهَنَّمَ مَلُومًا مَّدْحُورًا﴾
৩৯। তোমার রব
তোমাকে অহীর মাধ্যমে যে হিকমতের কথাগুলো বলেছেন এগুলো তার অন্তরভুক্ত।আর দেখো, আল্লাহর সাথে অন্য কোনো মাবুদ
স্থির করে নিয়ো না, অন্যথায়
তোমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে নিন্দিত এবং সব রকমের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত
অবস্থায়।৪৫
﴿أَفَأَصْفَاكُمْ
رَبُّكُم بِالْبَنِينَ وَاتَّخَذَ مِنَ الْمَلَائِكَةِ إِنَاثًا ۚ إِنَّكُمْ
لَتَقُولُونَ قَوْلًا عَظِيمًا﴾
৪০। কেমন
অদ্ভূত কথা, তোমাদের রব
তোমাদের পুত্র সন্তান দিয়ে অনুগৃহীত করেছেন এবং নিজের জন্য ফেরেশতাদেরকে কন্যা
সন্তান বানিয়ে নিয়েছেন?৪৬ এটা ভয়ানক
মিথ্যা কথা, যা তোমরা
নিজেদের মুখে উচ্চারণ করছো।
﴿وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي
هَٰذَا الْقُرْآنِ لِيَذَّكَّرُوا وَمَا يَزِيدُهُمْ إِلَّا نُفُورًا﴾
৪১। আমি এ
কুরআনে নানাভাবে লোকদেরকে বুঝিয়েছি যেন তারা সজাগ হয়, কিন্তু তারা সত্য থেকে আরো
বেশী দূরে সরে যাচ্ছে।
﴿قُل لَّوْ كَانَ مَعَهُ
آلِهَةٌ كَمَا يَقُولُونَ إِذًا لَّابْتَغَوْا إِلَىٰ ذِي الْعَرْشِ سَبِيلًا﴾
৪২। হে
মুহাম্মদ! এদেরকে বলো, যদি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহও থাকতো যেমন এরা বলে, তাহলে সে আরশের মালিকের
জায়গায় পৌঁছে যাবার জন্য নিশ্চয়ই চেষ্টা করতো।৪৭
﴿سُبْحَانَهُ وَتَعَالَىٰ
عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوًّا كَبِيرًا﴾
৪৩।
পাক-পবিত্র তিনি এবং এরা যেসব কথা বলছে তিনি তার অনেক ঊর্ধে।
﴿تُسَبِّحُ لَهُ
السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ ۚ وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلَّا
يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَٰكِن لَّا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ ۗ إِنَّهُ كَانَ
حَلِيمًا غَفُورًا﴾
৪৪। তাঁর
পবিত্রতা তো বর্ণনা করছে সাত আকাশ ও পৃথিবী এবং তাদের মধ্যে যা কিছু আছে সব জিনিসই।৪৮ এমন কোনো জিনিস নেই যা তাঁর
প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে না,৪৯ কিন্তু
তোমরা তাদের পবিত্রতা ও মহিমা কীর্তন বুঝতে পারো না। আসলে তিনি
বড়ই সহিষ্ণু ও ক্ষমাশীল।৫০
﴿وَإِذَا قَرَأْتَ
الْقُرْآنَ جَعَلْنَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ
حِجَابًا مَّسْتُورًا﴾
৪৫। যখন তুমি
কুরআন পড়ো তখন আমি তোমার ও যারা আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে না তাদের মাঝখানে একটি
পর্দা ঝুলিয়ে দেই।৫১
﴿وَجَعَلْنَا عَلَىٰ
قُلُوبِهِمْ أَكِنَّةً أَن يَفْقَهُوهُ وَفِي آذَانِهِمْ وَقْرًا ۚ وَإِذَا
ذَكَرْتَ رَبَّكَ فِي الْقُرْآنِ وَحْدَهُ وَلَّوْا عَلَىٰ أَدْبَارِهِمْ
نُفُورًا﴾
৪৬। এবং তাদের
মনের ওপর এমন আবরণ চড়িয়ে দেই যেন তারা কিছুই বুঝে না এবং তাদের কানে তালা লাগিয়ে
দেই। আর যখন তুমি কুরআনে নিজের একমাত্র রবের
কথা পড়ো তখন তারা ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেয়।৫২
﴿نَّحْنُ أَعْلَمُ بِمَا
يَسْتَمِعُونَ بِهِ إِذْ يَسْتَمِعُونَ إِلَيْكَ وَإِذْ هُمْ نَجْوَىٰ إِذْ
يَقُولُ الظَّالِمُونَ إِن تَتَّبِعُونَ إِلَّا رَجُلًا مَّسْحُورًا﴾
৪৭। আমি জানি, যখন তারা কান লাগিয়ে তোমার
কথা শোনে তখন আসলে কি শোনে এবং যখন বসে পরস্পর কানাকানি করে তখন কি বলে। এ জালেমরা
নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে, তোমরা এই যে লোকটির পেছনে চলছো এতো একজন যাদুগ্রস্ত ব্যক্তি।৫৩
﴿انظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوا
لَكَ الْأَمْثَالَ فَضَلُّوا فَلَا يَسْتَطِيعُونَ سَبِيلًا﴾
৪৮। দেখো, কী সব কথা এরা তোমার ওপর
ছুঁড়ে দিচ্ছে, এরা
পথভ্রষ্ট হয়েছে, এরা পথ পায়
না।৫৪
﴿وَقَالُوا أَإِذَا
كُنَّا عِظَامًا وَرُفَاتًا أَإِنَّا لَمَبْعُوثُونَ خَلْقًا جَدِيدًا﴾
৪৯। তারা বলে, “আমরা যখন শুধুমাত্র হাড় ও
মাটি হয়ে যাবো তখন কি আমাদের আবার নতুন করে পয়দা করে ওঠানো হবে?
﴿قُلْ كُونُوا حِجَارَةً
أَوْ حَدِيدًا﴾
৫০। এদেরকে
বলে দাও, তোমরা পাথর
বা লোহাই হয়ে যাও
﴿أَوْ خَلْقًا مِّمَّا
يَكْبُرُ فِي صُدُورِكُمْ ۚ فَسَيَقُولُونَ مَن يُعِيدُنَا ۖ قُلِ الَّذِي
فَطَرَكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ ۚ فَسَيُنْغِضُونَ إِلَيْكَ رُءُوسَهُمْ وَيَقُولُونَ
مَتَىٰ هُوَ ۖ قُلْ عَسَىٰ أَن يَكُونَ قَرِيبًا﴾
৫১। অথবা তার
চেয়েও বেশী কঠিন কোনো জিনিস, যার অবস্থান তোমাদের ধারণায় জীবনীশক্তি
লাভ করার বহুদূরে (তবুও তোমাদের ওঠানো হবেই)। তারা
নিশ্চয়ই জিজ্ঞেস করবে, কে আমাদের আবার জীবনের দিকে ফিরিয়ে আনবে? জবাবে বলো, তিনিই, যিনি প্রথমবার তোমাদের পয়দা
করেন। তারা মাথা নেড়ে নেড়ে জিজ্ঞেস করবে,৫৫ “আচ্ছা, তাহলে এটা কবে হবে?” তুমি বলে দাও, অবাক হবার কিছুই নেই, সে সময়টা হয়তো নিকটেই এসে
গেছে।
﴿يَوْمَ يَدْعُوكُمْ
فَتَسْتَجِيبُونَ بِحَمْدِهِ وَتَظُنُّونَ إِن لَّبِثْتُمْ إِلَّا قَلِيلًا﴾
৫২। যেদিন
তিনি তোমাদের ডাকবেন, তোমরা তাঁর প্রশংসাবাণী উচ্চারণ করতে করতে তাঁর ডাকের জবাবে
বের হয়ে আসবে এবং তখন তোমাদের এ ধারণা হবে যে, তোমরা অল্প কিছুক্ষণ মাত্র এ
অবস্থায় কাটিয়েছ।৫৬
﴿وَقُل لِّعِبَادِي
يَقُولُوا الَّتِي هِيَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنزَغُ بَيْنَهُمْ ۚ إِنَّ
الشَّيْطَانَ كَانَ لِلْإِنسَانِ عَدُوًّا مُّبِينًا﴾
৫৩। আর হে
মুহাম্মাদ! আমার বান্দাদেরকে৫৭ বলে দাও, তারা যেন মুখে এমন কথা বলে যা
সর্বোত্তম।৫৮ আসলে শয়তান
মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে।
প্রকৃতপক্ষে শয়তান হচ্ছে মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।৫৯
ফিতনা-ফাসাদে মশগুল করে রাখতে চায় সেভাবে তোমরাও তার মধ্যে মশগুল হয়ে যাও।
﴿رَّبُّكُمْ أَعْلَمُ
بِكُمْ ۖ إِن يَشَأْ يَرْحَمْكُمْ أَوْ إِن يَشَأْ يُعَذِّبْكُمْ ۚ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ
عَلَيْهِمْ وَكِيلًا﴾
৫৪। তোমাদের
রব তোমাদের অবস্থা সম্পর্কে বেশী জানেন। তিনি
চাইলে তোমাদের প্রতি দয়া করেন এবং চাইলে তোমাদের শাস্তি দেন।৬০ আর হে নবী! আমি তোমাকে লোকদের
ওপর হাবিলদার করে পাঠাইনি।৬১
﴿وَرَبُّكَ أَعْلَمُ
بِمَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۗ وَلَقَدْ فَضَّلْنَا بَعْضَ النَّبِيِّينَ
عَلَىٰ بَعْضٍ ۖ وَآتَيْنَا دَاوُودَ زَبُورًا﴾
৫৫। তোমার রব
পৃথিবী ও আকাশের সৃষ্টিসমূহকে বেশী জানেন। আমি কতক
নবীকে কতক নবীর ওপর মর্যাদা দিয়েছি৬২ এবং আমি
দাউদকে যাবুর দিয়েছিলাম।৬৩
﴿قُلِ ادْعُوا الَّذِينَ
زَعَمْتُم مِّن دُونِهِ فَلَا يَمْلِكُونَ كَشْفَ الضُّرِّ عَنكُمْ وَلَا تَحْوِيلًا﴾
৫৬। এদেরকে
বলো, ডাক দিয়ে
দেখো তোমাদের সেই মাবুদদেরকে, যাদেরকে তোমরা আল্লাহ ছাড়া (নিজেদের
কার্যোদ্ধারকারী) মনে করো, তারা তোমাদের কোনো কষ্ট দূর করতে পারবে না৬৪ এবং তা পরিবর্তন করতেও পারবে
না।
﴿أُولَٰئِكَ الَّذِينَ
يَدْعُونَ يَبْتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ الْوَسِيلَةَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ
وَيَرْجُونَ رَحْمَتَهُ وَيَخَافُونَ عَذَابَهُ ۚ إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ كَانَ
مَحْذُورًا﴾
৫৭। এরা
যাদেরকে ডাকে তারা তো নিজেরাই নিজেদের রবের নৈকট্যলাভের উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে যে, কে তাঁর নিকটতর হয়ে যাবে এবং
এরা তাঁর রহমতের প্রত্যাশী এবং তাঁর শাস্তির ভয়ে ভীত।৬৫ আসলে তোমার রবের শাস্তি ভয়
করার মতো।
﴿وَإِن مِّن قَرْيَةٍ
إِلَّا نَحْنُ مُهْلِكُوهَا قَبْلَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ أَوْ مُعَذِّبُوهَا عَذَابًا
شَدِيدًا ۚ كَانَ ذَٰلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا﴾
৫৮। আর এমন
কোনো জনপদ নেই, যা আমি
কিয়ামতের আগে ধ্বংস করে দেবো না৬৬ অথবা যাকে
কঠোর শাস্তি দেবো না, আল্লাহর লিখনে এটা লেখা আছে।
﴿وَمَا مَنَعَنَا أَن نُّرْسِلَ
بِالْآيَاتِ إِلَّا أَن كَذَّبَ بِهَا الْأَوَّلُونَ ۚ وَآتَيْنَا ثَمُودَ
النَّاقَةَ مُبْصِرَةً فَظَلَمُوا بِهَا ۚ وَمَا نُرْسِلُ بِالْآيَاتِ إِلَّا
تَخْوِيفًا﴾
৫৯। আর এদের
পূর্ববর্তী লোকেরা নিদর্শনসমূহ৬৭ অস্বীকার
করেছে বলেই তো আমি নিদর্শন পাঠানো থেকে বিরত রয়েছি। (যেমন
দেখে নাও) সামূদকে আমি প্রকাশ্যে উটনী এনে দিলাম এবং তারা তার ওপর জুলুম করলো।৬৮ আমি নিদর্শন তো এজন্য পাঠাই
যাতে লোকেরা তা দেখে ভয় পায়।৬৯
﴿وَإِذْ قُلْنَا لَكَ
إِنَّ رَبَّكَ أَحَاطَ بِالنَّاسِ ۚ وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي
أَرَيْنَاكَ إِلَّا فِتْنَةً لِّلنَّاسِ وَالشَّجَرَةَ الْمَلْعُونَةَ فِي
الْقُرْآنِ ۚ وَنُخَوِّفُهُمْ فَمَا يَزِيدُهُمْ إِلَّا طُغْيَانًا كَبِيرًا﴾
৬০। স্মরণ করো
হে মুহাম্মাদ! আমি তোমাকে বলে দিয়েছিলাম, তোমার রব এ লোকদেরকে ঘিরে
রেখেছেন।৭০ আর এই
যাকিছু এখনই আমি তোমাকে দেখিয়েছি৭১ একে এবং
কুরআনে অভিশপ্ত গাছকে৭২ আমি এদের
জন্য একটি ফিতনা বানিয়ে রেখে দিয়েছি।৭৩ আমি এদেরকে অনবরত সতর্ক করে
যাচ্ছি কিন্তু প্রতিটি সতর্ক সংকেত এদের অবাধ্যতা বাড়িয়ে চলছে।
﴿وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ
اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ قَالَ أَأَسْجُدُ لِمَنْ خَلَقْتَ
طِينًا﴾
৬১। আর স্মরণ
করো, যখন আমি
ফেরেশতাদের বললাম, আদমকে
সিজদা করো, তখন সবাই
সিজদা করলো কিন্তু ইবলীস করলো না।৭৪ সে বললো, “আমি কি তাকে সিজদা করবো যাকে
তুমি বানিয়েছো মাটি দিয়ে?
﴿قَالَ أَرَأَيْتَكَ
هَٰذَا الَّذِي كَرَّمْتَ عَلَيَّ لَئِنْ أَخَّرْتَنِ إِلَىٰ يَوْمِ الْقِيَامَةِ
لَأَحْتَنِكَنَّ ذُرِّيَّتَهُ إِلَّا قَلِيلًا﴾
৬২। তারপর সে
বললো, দেখোতো
ভালো করে, তুমি যে
একে আমার ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছো, এ কি এর যোগ্য ছিল? যদি তুমি আমাকে কিয়ামতের দিন
পর্যন্ত অবকাশ দাও তাহলে আমি তার সমস্ত সন্তান সন্ততির মূলোচ্ছেদ করে দেবো,৭৫ মাত্র
সামান্য কজনই আমার হাত থেকে নিস্তার পাবে।
﴿قَالَ اذْهَبْ فَمَن تَبِعَكَ
مِنْهُمْ فَإِنَّ جَهَنَّمَ جَزَاؤُكُمْ جَزَاءً مَّوْفُورًا﴾
৬৩। আল্লাহ
বললেন, ঠিক আছে, তুমি যাও, এদের মধ্য থেকে যারাই তোমার
অনুসরণ করবে তুমিসহ তাদের সবার জন্য জাহান্নামই হবে পূর্ণ প্রতিদান।
﴿وَاسْتَفْزِزْ مَنِ
اسْتَطَعْتَ مِنْهُم بِصَوْتِكَ وَأَجْلِبْ عَلَيْهِم بِخَيْلِكَ وَرَجِلِكَ
وَشَارِكْهُمْ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ وَعِدْهُمْ ۚ وَمَا يَعِدُهُمُ
الشَّيْطَانُ إِلَّا غُرُورًا﴾
৬৪। তুমি যাকে
যাকে পারো তোমার দাওয়াতের মাধ্যমে পদস্খলিত করো,৭৬ তাদের ওপর
অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনীর আক্রমণ চালাও,৭৭ ধন-সম্পদে
ও সন্তান-সন্ততিতে তাদের সাথে শরীক হয়ে যাও৭৮ এবং তাদেরকে প্রতিশ্রুতির
জালে আটকে ফেলো,৭৯ আর শয়তানের প্রতিশ্রুতি ধোঁকা
ছাড়া আর কিছুই নয়,
﴿إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ
لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ ۚ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ وَكِيلًا﴾
৬৫।
নিশ্চিতভাবেই আমার বান্দাদের ওপর তোমার কোনো কর্তৃত্ব অর্জিত হবে না৮০ এবং ভরসা করার জন্য তোমার রবই
যথেষ্ট।৮১
﴿رَّبُّكُمُ الَّذِي
يُزْجِي لَكُمُ الْفُلْكَ فِي الْبَحْرِ لِتَبْتَغُوا مِن فَضْلِهِ ۚ إِنَّهُ
كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا﴾
৬৬। তোমাদের
(আসল) রব তো তিনিই যিনি সমুদ্রে তোমাদের নৌযান পরিচালনা করেন,৮২ যাতে তোমরা
তাঁর অনুগ্রহ তালাশ করতে পারো।৮৩ আসলে তিনি তোমাদের অবস্থার
প্রতি বড়ই করুণাশীল।
﴿وَإِذَا مَسَّكُمُ
الضُّرُّ فِي الْبَحْرِ ضَلَّ مَن تَدْعُونَ إِلَّا إِيَّاهُ ۖ فَلَمَّا
نَجَّاكُمْ إِلَى الْبَرِّ أَعْرَضْتُمْ ۚ وَكَانَ الْإِنسَانُ كَفُورًا﴾
৬৭। যখন সাগরে
তোমাদের ওপর বিপদ আসে তখন সেই একজন ছাড়া আর যাকে তোমরা ডাকো সবাই অন্তর্হিত হয়ে
যায়।৮৪ কিন্তু যখন
তিনি তোমাদের রক্ষা করে স্থলদেশে পৌঁছিয়ে দেন তখন তোমরা তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে
নাও। মানুষ সত্যিই বড়ই অকৃতজ্ঞ।
﴿أَفَأَمِنتُمْ أَن
يَخْسِفَ بِكُمْ جَانِبَ الْبَرِّ أَوْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا ثُمَّ لَا
تَجِدُوا لَكُمْ وَكِيلًا﴾
৬৮। আচ্ছা, তাহলে তোমরা কি এ ব্যাপারে
একেবারেই নির্ভীক যে, আল্লাহ কখনো স্থলদেশেই তোমাদেরকে যমীনের মধ্যে প্রোথিত করে
দেবেন না অথবা তোমাদের ওপর পাথর বর্ষণকারী ঘূর্ণি পাঠাবেন না এবং তোমরা তার হাত
থেকে বাঁচার জন্য কোনো সহায়ক পাবে না?
﴿أَمْ أَمِنتُمْ أَن
يُعِيدَكُمْ فِيهِ تَارَةً أُخْرَىٰ فَيُرْسِلَ عَلَيْكُمْ قَاصِفًا مِّنَ
الرِّيحِ فَيُغْرِقَكُم بِمَا كَفَرْتُمْ ۙ ثُمَّ لَا تَجِدُوا لَكُمْ عَلَيْنَا
بِهِ تَبِيعًا﴾
৬৯। আর
তোমাদের কি এ ধরনের কোনো আশংকা নেই যে, আল্লাহ আবার কোনো সময় তোমাদের সাগরে নিয়ে
যাবেন এবং তোমাদের অকৃতজ্ঞতার দরুন তোমাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ঘূর্ণি পাঠিয়ে
তোমাদের ডুবিয়ে দেবেন এবং তোমরা এমন কাউকে পাবে না যে, তাঁর কাছে তোমাদের এ পরিণতির
জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে?
﴿وَلَقَدْ كَرَّمْنَا
بَنِي آدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُم مِّنَ
الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَىٰ كَثِيرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيلًا﴾
৭০। এতো আমার
অনুগ্রহ, আমি বনী
আদমকে মর্যাদা দিয়েছি এবং তাদেরকে জলে স্থলে সওয়ারী দান করেছি, তাদেরকে পাক-পবিত্র জিনিস
থেকে রিযিক দিয়েছি এবং নিজের বহু সৃষ্টির ওপর তাদেরকে সুস্পষ্ট প্রাধান্য দিয়েছি।৮৫
﴿يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ
أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ ۖ فَمَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَأُولَٰئِكَ
يَقْرَءُونَ كِتَابَهُمْ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلًا﴾
৭১। তারপর সেই
দিনের কথা মনে করো যেদিন আমি মানুষের প্রত্যেকটি দলকে তার নেতা সহকারে ডাকবো। সেদিন
যাদের আমলনামা তাদের ডান হাতে দেয়া হবে তারা নিজেদের কার্যকলাপ পাঠ করবে৮৬ এবং তাদের ওপর সামান্যতমও
জুলুম করা হবে না
﴿وَمَن كَانَ فِي هَٰذِهِ
أَعْمَىٰ فَهُوَ فِي الْآخِرَةِ أَعْمَىٰ وَأَضَلُّ سَبِيلًا﴾
৭২। আর যে
ব্যক্তি এ দুনিয়াতে অন্ধ হয়ে থাকে সে আখেরাতেও অন্ধ হয়েই থাকবে বরং পথ লাভ করার
ব্যাপারে সে অন্ধের চেয়েও বেশী ব্যর্থ।
﴿وَإِن كَادُوا
لَيَفْتِنُونَكَ عَنِ الَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ لِتَفْتَرِيَ عَلَيْنَا
غَيْرَهُ ۖ وَإِذًا لَّاتَّخَذُوكَ خَلِيلًا﴾
৭৩। হে
মুহাম্মাদ! তোমার কাছে আমি যে অহী পাঠিয়েছি তা থেকে তোমাকে ফিরিয়ে রাখার জন্য এ
লোকেরা তোমাকে বিভ্রাটের মধ্যে ঠেলে দেবার প্রচেষ্টায় কসুর করেনি, যাতে তুমি আমার নামে নিজের পক্ষ
থেকে কোনো কথা তৈরি করো।৮৭ যদি তুমি এমনটি করতে তাহলে
তারা তোমাকে নিজেদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করতো।
﴿وَلَوْلَا أَن
ثَبَّتْنَاكَ لَقَدْ كِدتَّ تَرْكَنُ إِلَيْهِمْ شَيْئًا قَلِيلًا﴾
৭৪। আর যদি
আমি তোমাকে মজবুত না রাখতাম তাহলে তোমার পক্ষে তাদের দিকে কিছু না কিছু ঝুঁকে পড়া
অসম্ভব ব্যাপার ছিলো না।
﴿إِذًا لَّأَذَقْنَاكَ
ضِعْفَ الْحَيَاةِ وَضِعْفَ الْمَمَاتِ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَكَ عَلَيْنَا نَصِيرًا﴾
৭৫। কিন্তু
যদি তুমি এমনটি করতে তাহলে আমি এ দুনিয়ায় তোমাকে দ্বিগুণ শাস্তির মজা টের পাইয়ে
দিতাম এবং আখেরাতেও, তারপর আমার
মুকাবিলায় তুমি কোনো সাহায্যকারী পেতে না।৮৮
﴿وَإِن كَادُوا
لَيَسْتَفِزُّونَكَ مِنَ الْأَرْضِ لِيُخْرِجُوكَ مِنْهَا ۖ وَإِذًا لَّا يَلْبَثُونَ
خِلَافَكَ إِلَّا قَلِيلًا﴾
৭৬। আর এরা এ
দেশ থেকে তোমাকে উৎখাত করার এবং এখান থেকে তোমাকে বের করে দেবার জন্য প্রচেষ্টা
চালিয়েছিল। কিন্তু যদি এরা এমনটি করে তাহলে তোমার পর
এরা নিজেরাই এখানে বেশীক্ষণ থাকতে পারবে না।৮৯
﴿سُنَّةَ مَن قَدْ
أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِن رُّسُلِنَا ۖ وَلَا تَجِدُ لِسُنَّتِنَا تَحْوِيلًا﴾
৭৭। এটি আমার
স্থায়ী কর্মপদ্ধতি। তোমার পূর্বে আমি যেসব রাসূল
পাঠিয়েছিলাম তাদের সবার ব্যাপারে এ কর্মপদ্ধতি আরোপ করেছিলাম।৯০ আর আমার কর্মপদ্ধতিতে তুমি
কোনো পরিবর্তন দেখতে পাবে না।
﴿أَقِمِ الصَّلَاةَ
لِدُلُوكِ الشَّمْسِ إِلَىٰ غَسَقِ اللَّيْلِ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ ۖ إِنَّ قُرْآنَ
الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا﴾
৭৮। নামায
কায়েম করো৯১ সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে৯২ নিয়ে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত৯৩ এবং ফজরে কুরআন পড়ারও
ব্যবস্থা করো।৯৪ কারণ ফজরের
কুরআন পাঠ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।৯৫
﴿وَمِنَ اللَّيْلِ
فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَّكَ عَسَىٰ أَن يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا
مَّحْمُودًا﴾
৭৯। আর রাতে
তাহাজ্জুদ পড়ো৯৬ এটি তোমার
জন্য নফল।৯৭ অচিরেই
তোমার রব তোমাকে “প্রশংসিত স্থানে”৯৮ প্রতিষ্ঠিত
করবেন।
﴿وَقُل رَّبِّ
أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَل لِّي مِن لَّدُنكَ
سُلْطَانًا نَّصِيرًا﴾
৮০। আর দোয়া
করোঃ হে আমার পরওয়ারদিগার! আমাকে যেখানেই তুমি নিয়ে যাও সত্যতার সাথে নিয়ে যাও এবং
যেখান থেকেই বের করো সত্যতার সাথে বের করো।৯৯ এবং তোমার পক্ষ থেকে একটি
কর্তৃত্বশীল পরাক্রান্ত শক্তিকে আমার সাহায্যকারী বানিয়ে দাও।১০০
﴿وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ
وَزَهَقَ الْبَاطِلُ ۚ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا﴾
৮১। আর ঘোষণা
করে দাও, “সত্য এসে
গেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, মিথ্যার তো বিলুপ্ত হবারই কথা”।১০১
﴿وَنُنَزِّلُ مِنَ
الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ ۙ وَلَا يَزِيدُ
الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَارًا﴾
৮২। আমি এ
কুরআনের অবতরণ প্রক্রিয়ায় এমন সব বিষয় অবতীর্ণ করছি যা মুমিনদের জন্য নিরাময় ও
রহমত এবং জালেমদের জন্য ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করে না।১০২
﴿وَإِذَا أَنْعَمْنَا
عَلَى الْإِنسَانِ أَعْرَضَ وَنَأَىٰ بِجَانِبِهِ ۖ وَإِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ
كَانَ يَئُوسًا﴾
৮৩। মানুষের
অবস্থা হচ্ছে এই যে, যখন আমি
তাকে নিয়ামত দান করি তখন সে গর্ব করে ও পিঠ ফিরিয়ে নেয় এবং যখন সামান্য বিপদের
মুখোমুখি হয় তখন হতাশ হয়ে যেতে থাকে।
﴿قُلْ كُلٌّ يَعْمَلُ
عَلَىٰ شَاكِلَتِهِ فَرَبُّكُمْ أَعْلَمُ بِمَنْ هُوَ أَهْدَىٰ سَبِيلًا﴾
৮৪। হে নবী!
এদেরকে বলে দাও, “প্রত্যেকে
নিজ নিজ পথে কাজ করছে, এখন একমাত্র তোমাদের রবই ভালো জানেন কে আছে সরল সঠিক পথে।”
﴿وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ
الرُّوحِ ۖ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُم مِّنَ الْعِلْمِ
إِلَّا قَلِيلًا﴾
৮৫। এরা
তোমাকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করছে। বলে দাও, “এ রূহ আমার রবের হুকুমে আসে
কিন্তু তোমরা সামান্য জ্ঞানই লাভ করেছো।”১০৩
﴿وَلَئِن شِئْنَا
لَنَذْهَبَنَّ بِالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَكَ بِهِ
عَلَيْنَا وَكِيلًا﴾
৮৬। আর হে
মুহাম্মদ! আমি চাইলে তোমার কাছ থেকে সবকিছুই ছিনিয়ে নিতে পারতাম, যা আমি অহীর মাধ্যমে তোমাকে
দিয়েছি, তারপর তুমি
আমার মুকাবিলায় কোনো সহায়ক পাবে না, সে তা ফিরিয়ে আনতে পারে।
﴿إِلَّا رَحْمَةً مِّن
رَّبِّكَ ۚ إِنَّ فَضْلَهُ كَانَ عَلَيْكَ كَبِيرًا﴾
৮৭। এই যে
যাকিছু তুমি লাভ করেছো, এসব তোমার রবের হুকুম, আসলে তাঁর অনুগ্রহ তোমার
প্রতি অনেক বড়।১০৪
﴿قُل لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ
الْإِنسُ وَالْجِنُّ عَلَىٰ أَن يَأْتُوا بِمِثْلِ هَٰذَا الْقُرْآنِ لَا يَأْتُونَ
بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا﴾
৮৮। বলে দাও, যদি মানুষ ও জিন সবাই মিলে
কুরআনের মতো কোনো একটি জিনিস আনার চেষ্টা করে তাহলে তারা আনতে পারবে না, তারা পরস্পরের সাহায্যকারী
হয়ে গেলেও।১০৫
﴿وَلَقَدْ صَرَّفْنَا
لِلنَّاسِ فِي هَٰذَا الْقُرْآنِ مِن كُلِّ مَثَلٍ فَأَبَىٰ أَكْثَرُ النَّاسِ
إِلَّا كُفُورًا﴾
৮৯। আমি এ
কুরআনে লোকদেরকে নানাভাবে বুঝিয়েছি কিন্তু অধিকাংশ লোক অস্বীকার করার ওপরই অবিচল
থাকে।
﴿وَقَالُوا لَن نُّؤْمِنَ
لَكَ حَتَّىٰ تَفْجُرَ لَنَا مِنَ الْأَرْضِ يَنبُوعًا﴾
৯০। তারা বলে, “আমরা তোমার কথা মানবো না
যতক্ষণ না তুমি ভূমি বিদীর্ণ করে আমাদের জন্য একটি ঝরণাধারা উৎসারিত করে দেবে।
﴿أَوْ تَكُونَ لَكَ
جَنَّةٌ مِّن نَّخِيلٍ وَعِنَبٍ فَتُفَجِّرَ الْأَنْهَارَ خِلَالَهَا تَفْجِيرًا﴾
৯১। অথবা
তোমার খেজুর ও আংগুরের একটি বাগান হবে এবং তুমি তার মধ্যে প্রবাহিত করে দেবে
নদী-নালা।
﴿أَوْ تُسْقِطَ
السَّمَاءَ كَمَا زَعَمْتَ عَلَيْنَا كِسَفًا أَوْ تَأْتِيَ بِاللَّهِ
وَالْمَلَائِكَةِ قَبِيلًا﴾
৯২। অথবা তুমি
আকাশ ভেংগে টুকরো টুকরো করে তোমার হুমকি অনুযায়ী আমাদের ওপর ফেলে দেবে। অথবা
আল্লাহ ও ফেরেশতাদেরকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবে।
﴿أَوْ يَكُونَ لَكَ
بَيْتٌ مِّن زُخْرُفٍ أَوْ تَرْقَىٰ فِي السَّمَاءِ وَلَن نُّؤْمِنَ لِرُقِيِّكَ
حَتَّىٰ تُنَزِّلَ عَلَيْنَا كِتَابًا نَّقْرَؤُهُ ۗ قُلْ سُبْحَانَ رَبِّي هَلْ
كُنتُ إِلَّا بَشَرًا رَّسُولًا﴾
৯৩। অথবা
তোমার জন্য সোনার একটি ঘর তৈরি হবে। অথবা তুমি
আকাশে আরোহণ করবে এবং তোমার আরোহণ করার কথাও আমরা বিশ্বাস করবো না যতক্ষণ না তুমি
আমাদের প্রতি একটি লিখিত পত্র আনবে, যা আমরা পড়বো।” হে
মুহাম্মাদ! এদেরকে বলো, পাক-পবিত্র আমার পরওয়ারদিগার, আমি কি একজন বাণীবাহক মানুষ
ছাড়া অন্য কিছু?১০৬
﴿وَمَا مَنَعَ النَّاسَ
أَن يُؤْمِنُوا إِذْ جَاءَهُمُ الْهُدَىٰ إِلَّا أَن قَالُوا أَبَعَثَ اللَّهُ
بَشَرًا رَّسُولًا﴾
৯৪। লোকদের
কাছে যখনই কোনো পথনির্দেশ আসে তখন তাদের একটা কথাই তাদের ঈমান আনার পথ রুদ্ধ করে
দেয়। কথাটা এই যে, “আল্লাহ কি মানুষকে রাসূল
বানিয়ে পাঠিয়েছেন?”১০৭
﴿قُل لَّوْ كَانَ فِي
الْأَرْضِ مَلَائِكَةٌ يَمْشُونَ مُطْمَئِنِّينَ لَنَزَّلْنَا عَلَيْهِم مِّنَ
السَّمَاءِ مَلَكًا رَّسُولًا﴾
৯৫। তাদেরকে
বলো, যদি
পৃথিবীতে ফেরেশতারা নিশ্চিন্তভাবে চলাফেরা করতো তাহলে নিশ্চয়ই আমি কোনো ফেরেশতাকেই
তাদের কাছে রাসূল বানিয়ে পাঠাতাম।১০৮
﴿قُلْ كَفَىٰ بِاللَّهِ
شَهِيدًا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ ۚ إِنَّهُ كَانَ بِعِبَادِهِ خَبِيرًا بَصِيرًا﴾
৯৬। হে
মুহাম্মদ! তাদেরকে বলে দাও, আমারও তোমাদের শুধু একমাত্র আল্লাহর সাক্ষ্যই
যথেষ্ট। তিনি নিজের বান্দাদের অবস্থা জানেন এবং
সবকিছু দেখছেন।১০৯
﴿وَمَن يَهْدِ اللَّهُ
فَهُوَ الْمُهْتَدِ ۖ وَمَن يُضْلِلْ فَلَن تَجِدَ لَهُمْ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِهِ
ۖ وَنَحْشُرُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَىٰ وُجُوهِهِمْ عُمْيًا وَبُكْمًا
وَصُمًّا ۖ مَّأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ ۖ كُلَّمَا خَبَتْ زِدْنَاهُمْ سَعِيرًا﴾
৯৭। যাকে
আল্লাহ পথ দেখান সে-ই পথ লাভ করে এবং যাদেরকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন তাদের জন্য তুমি
তাঁকে ছাড়া আর কোনো সহায়ক ও সাহায্যকারী পেতে পারো না।১১০ এ লোকগুলোকে আমি কিয়ামতের দিন
উপুড় করে টেনে আনবো অন্ধ, বোবা ও বধির করে।১১১ এদের আবাস জাহান্নাম। যখনই তার
আগুন স্তিমিত হতে থাকবে আমি তাকে আরো জোরে জ্বালিয়ে দেবো।
﴿ذَٰلِكَ جَزَاؤُهُم
بِأَنَّهُمْ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا وَقَالُوا أَإِذَا كُنَّا عِظَامًا وَرُفَاتًا
أَإِنَّا لَمَبْعُوثُونَ خَلْقًا جَدِيدًا﴾
৯৮। এটা হচ্ছে
তাদের এ কাজের প্রতিদান যে, তারা আমার নিদর্শন অস্বীকার করেছে এবং
বলেছে “যখন আমরা শুধুমাত্র হাড় ও মাটি হয়ে যাবো তখন কি আবার আমাদের নতুন করে পয়দা
করে উঠানো হবে?
﴿أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّ
اللَّهَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ قَادِرٌ عَلَىٰ أَن يَخْلُقَ
مِثْلَهُمْ وَجَعَلَ لَهُمْ أَجَلًا لَّا رَيْبَ فِيهِ فَأَبَى الظَّالِمُونَ
إِلَّا كُفُورًا﴾
৯৯। তারা কি
খেয়াল করেনি, যে আল্লাহ
পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলী সৃষ্টি করেছেন তিনি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করার অবশ্যই ক্ষমতা
রাখেন? তিনি তাদের হাশরের জন্য একটি সময় নির্ধারণ করে রেখেছেন, যার আগমন অবধারিত। কিন্তু
জালেমরা জিদ ধরেছে যে তারা তা অস্বীকারই করে যাবে।
﴿قُل لَّوْ أَنتُمْ
تَمْلِكُونَ خَزَائِنَ رَحْمَةِ رَبِّي إِذًا لَّأَمْسَكْتُمْ خَشْيَةَ
الْإِنفَاقِ ۚ وَكَانَ الْإِنسَانُ قَتُورًا﴾
১০০। হে
মুহাম্মাদ! এদেরকে বলে দাও, যদি আমার রবের রহমতের ভাণ্ডার তোমাদের
অধীনে থাকতো তাহলে তোমরা ব্যয় হয়ে যাবার আশংকায় নিশ্চিতভাবেই তা ধরে রাখতে। সত্যিই
মানুষ বড়ই সংকীর্ণমনা।১১২
﴿وَلَقَدْ آتَيْنَا
مُوسَىٰ تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ ۖ فَاسْأَلْ بَنِي إِسْرَائِيلَ إِذْ جَاءَهُمْ
فَقَالَ لَهُ فِرْعَوْنُ إِنِّي لَأَظُنُّكَ يَا مُوسَىٰ مَسْحُورًا﴾
১০১। আমি
মূসাকে নয়টি নিদর্শন দিয়েছিলাম, সেগুলো সুস্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।১১৩ এখন নিজেরাই তোমরা বনী
ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস করে দেখে নাও যখন সেগুলো তাদের সামনে এলো তখন ফেরাউন তো একথাই
বলেছিল, “হে মূসা!
আমার মতে তুমি অবশ্যই একজন যাদুগ্রস্ত ব্যক্তি।”১১৪
﴿قَالَ لَقَدْ عَلِمْتَ
مَا أَنزَلَ هَٰؤُلَاءِ إِلَّا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ بَصَائِرَ
وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَا فِرْعَوْنُ مَثْبُورًا﴾
১০২। মূসা এর
জবাবে বললো, “তুমি খুব
ভাল করেই জানো এ প্রজ্ঞাময় নিদর্শনগুলো আকাশ ও পৃথিবীর রব ছাড়া আর কেউ নাযিল
করেননি১১৫ আর আমার মনে হয় হে ফেরাউন!
তুমি নিশ্চয়ই একজন হতভাগ্য ব্যক্তি।১১৬
﴿فَأَرَادَ أَن
يَسْتَفِزَّهُم مِّنَ الْأَرْضِ فَأَغْرَقْنَاهُ وَمَن مَّعَهُ جَمِيعًا﴾
১০৩। শেষ
পর্যন্ত ফেরাউন ও বনী ইসরাঈলকে দুনিয়ার বুক থেকে উৎখাত করার সংকল্প করলো। কিন্তু
আমি তাকে ও তার সংগী-সাথীদেরকে এক সাথে ডুবিয়ে দিলাম।
﴿وَقُلْنَا مِن بَعْدِهِ
لِبَنِي إِسْرَائِيلَ اسْكُنُوا الْأَرْضَ فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ الْآخِرَةِ
جِئْنَا بِكُمْ لَفِيفًا﴾
১০৪। এবং এরপর
বনী ইসরাঈলকে বললাম, এখন তোমরা
পৃথিবীতে বসবাস করো,১১৭ তারপর যখন আখেরাতের
প্রতিশ্রুতির সময় এসে যাবে তখন আমি তোমাদের সবাইকে এক সাথে হাযির করবো।
﴿وَبِالْحَقِّ
أَنزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ ۗ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا مُبَشِّرًا
وَنَذِيرًا﴾
১০৫। এ কুরআনকে
আমি সত্য সহকারে নাযিল করেছি এবং সত্য সহকারেই এটি নাযিল হয়েছে। আর হে
মুহাম্মাদ! তোমাকে আমি এছাড়া আর কোনো কাজে পাঠাইনি যে, (যে মেনে নেবে তাকে) সুসংবাদ
দিয়ে দেবে এবং (যে মেনে নেবে না তাকে) সাবধান করে দেবে।১১৮
﴿وَقُرْآنًا فَرَقْنَاهُ
لِتَقْرَأَهُ عَلَى النَّاسِ عَلَىٰ مُكْثٍ وَنَزَّلْنَاهُ تَنزِيلًا﴾
১০৬। আর এ
কুরআনকে আমি সামান্য সামান্য করে নাযিল করেছি, যাতে তুমি থেমে থেমে তা
লোকদেরকে শুনিয়ে দাও এবং তাকে আমি (বিভিন্ন সময়) পর্যায়ক্রমে নাযিল করেছি।১১৯
﴿قُلْ آمِنُوا بِهِ أَوْ
لَا تُؤْمِنُوا ۚ إِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ مِن قَبْلِهِ إِذَا يُتْلَىٰ
عَلَيْهِمْ يَخِرُّونَ لِلْأَذْقَانِ سُجَّدًا﴾
১০৭। হে
মুহাম্মদ! এদেরকে বলে দাও, তোমরা একে মানো বা না মানো, যাদেরকে এর আগে জ্ঞান দেয়া
হয়েছে১২০ তাদেরকে যখন এটা শুনানো হয়
তখন তারা আনত মস্তকে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে
﴿وَيَقُولُونَ سُبْحَانَ
رَبِّنَا إِن كَانَ وَعْدُ رَبِّنَا لَمَفْعُولًا﴾
১০৮। এবং বলে
ওঠে, “পাক-পবিত্র
আমাদের রব, আমাদের
রবের প্রতিশ্রুতি তো পূর্ণ হয়েই থাকে”।১২১
﴿وَيَخِرُّونَ
لِلْأَذْقَانِ يَبْكُونَ وَيَزِيدُهُمْ خُشُوعًا ﴾
১০৯। এবং তারা
নত মুখে কাঁদতে কাঁদতে লুটিয়ে পড়ে এবং তা শুনে তাদের দীনতা আরো বেড়ে যায়।১২২
﴿قُلِ ادْعُوا اللَّهَ
أَوِ ادْعُوا الرَّحْمَٰنَ ۖ أَيًّا مَّا تَدْعُوا فَلَهُ الْأَسْمَاءُ
الْحُسْنَىٰ ۚ وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ
ذَٰلِكَ سَبِيلًا﴾
১১০। হে নবী!
এদেরকে বলে দাও, আল্লাহ বা রাহমান
যে নামেই ডাকো না কেন, তাঁর জন্য সবই ভালো নাম।১২৩ আর নিজের নামায খুব বেশী উচ্চ
কণ্ঠেও পড়বে না, বেশী ক্ষীণ
কণ্ঠেও না, বরং এ
দুয়ের মাঝামাঝি মধ্যম পর্যায়ের কণ্ঠস্বর অবলম্বন করবে।১২৪
﴿وَقُلِ الْحَمْدُ
لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُن لَّهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ
وَلَمْ يَكُن لَّهُ وَلِيٌّ مِّنَ الذُّلِّ ۖ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا﴾
১১১। আর বলো, সেই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি কোনো পুত্রও গ্রহণ
করেননি। তাঁর বাদশাহীতে কেউ শরীকও হয়নি এবং তিনি
এমন অক্ষমও নন যে, কেউ তাঁর
সাহায্যকারী ও নির্ভর হবে।”১২৫ আর তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করো, চূড়ান্ত পর্যায়ের শ্রেষ্ঠত্ব।
--- সমাপ্ত ---
কোন মন্তব্য নেই
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।