০৩৮. সূরা ছোয়াদ
﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ﴾
পরম
করুণাময়
মেহেরবানী আল্লাহর নামে
﴿صٓ ۚ وَٱلْقُرْءَانِ ذِى
ٱلذِّكْرِ﴾
১। ছোয়াদ।১ উপদেশপূর্ণ২ কুরআনের
শপথ।
﴿بَلِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟
فِى عِزَّةٍۢ وَشِقَاقٍۢ﴾
২। বরং এরাই, যারা মেনে
নিতে অস্বীকার করেছে, প্রচণ্ড অহংকার ও জিদে লিপ্ত হয়েছে।৩
﴿كَمْ أَهْلَكْنَا مِن قَبْلِهِم
مِّن قَرْنٍۢ فَنَادَوا۟ وَّلَاتَ حِينَ مَنَاصٍۢ﴾
৩। এদের
পূর্বে আমি এমনি আরো কত জাতিকে ধ্বংস করেছি (এবং যখন তাদের সর্বনাশ এসে গেছে) তারা
চিৎকার করে উঠেছে, কিন্তু সেটি রক্ষা পাওয়ার সময় নয়।
﴿وَعَجِبُوٓا۟ أَن جَآءَهُم
مُّنذِرٌۭ مِّنْهُمْ ۖ وَقَالَ ٱلْكَـٰفِرُونَ هَـٰذَا سَـٰحِرٌۭ كَذَّابٌ﴾
৪। এরা একথা
শুনে বড়ই অবাক হয়েছে যে, এদের নিজেদের মধ্য থেকেই একজন ভীতি
প্রদর্শনকারী এসে গেছে।৪ অস্বীকারকারীরা
বলতে থাকে, “এ হচ্ছে যাদুকর,৫ বড়ই
মিথ্যুক,
﴿أَجَعَلَ ٱلْـَٔالِهَةَ إِلَـٰهًۭا
وَٰحِدًا ۖ إِنَّ هَـٰذَا لَشَىْءٌ عُجَابٌۭ﴾
৫। সকল খোদার
বদলে সে কি মাত্র একজনকেই খোদা বানিয়ে নিয়েছে? এতো বড়
বিস্ময়কর কথা!”
﴿وَٱنطَلَقَ ٱلْمَلَأُ مِنْهُمْ
أَنِ ٱمْشُوا۟ وَٱصْبِرُوا۟ عَلَىٰٓ ءَالِهَتِكُمْ ۖ إِنَّ هَـٰذَا لَشَىْءٌۭ يُرَادُ﴾
৬। আর জাতির
সরদাররা একথা বলতে বলতে বের হয়ে গেলো,৬ “চলো,
অবিচল থাকো নিজেদের উপাস্যদের উপাসনায়। একথা তো৭ ভিন্নতর
উদ্দেশ্যেই বলা হচ্ছে৮
﴿مَا سَمِعْنَا بِهَـٰذَا
فِى ٱلْمِلَّةِ ٱلْـَٔاخِرَةِ إِنْ هَـٰذَآ إِلَّا ٱخْتِلَـٰقٌ﴾
৭। নিকট
অতীতের মিল্লাতগুলোর মধ্য থেকে কারো কাছ থেকে তো আমরা একথা শুনিনি।৯ এটি একটি
মনগড়া কথা ছাড়া আর কিছুই নয়।
﴿أَءُنزِلَ عَلَيْهِ ٱلذِّكْرُ
مِنۢ بَيْنِنَا ۚ بَلْ هُمْ فِى شَكٍّۢ مِّن ذِكْرِى ۖ بَل لَّمَّا يَذُوقُوا۟ عَذَابِ﴾
৮। আমাদের
মধ্যে কি মাত্র এ এক ব্যক্তিই থেকে গিয়েছিল যার কাছে আল্লাহর যিক্র নাযিল করা
হয়েছে? “আসল কথা হচ্ছে, এরা
আমার যিক্র-এর ব্যাপারে সন্দেহ করছে১০ আমার
আযাবের স্বাদ পায়নি বলেই এরা এসব করছে।
﴿أَمْ عِندَهُمْ خَزَآئِنُ
رَحْمَةِ رَبِّكَ ٱلْعَزِيزِ ٱلْوَهَّابِ﴾
৯। তোমার
মহান দাতা ও পরাক্রমশালী পরওয়ারদিগারের রহমতের ভাণ্ডার কি এদের আয়ত্বাধীনে আছে?
﴿أَمْ لَهُم مُّلْكُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ
وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ۖ فَلْيَرْتَقُوا۟ فِى ٱلْأَسْبَـٰبِ﴾
১০। এরা কি
আসমান-যমীন এবং তাদের মাঝখানের সবকিছুর মালিক? বেশ, তাহলে এরা কার্যকারণ জগতের উচ্চতম শিখরসমূহে আরোহণ করে দেখুক।১১
﴿جُندٌۭ مَّا هُنَالِكَ مَهْزُومٌۭ
مِّنَ ٱلْأَحْزَابِ﴾
১১। বহুদলের
মধ্য থেকে এতো ছোট্ট একটি দল, এখানেই এটি পরাজিত হবে।১২
﴿كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ
نُوحٍۢ وَعَادٌۭ وَفِرْعَوْنُ ذُو ٱلْأَوْتَادِ﴾
১২। এরপূর্বে
নূহের সম্প্রদায়,
﴿وَثَمُودُ وَقَوْمُ لُوطٍۢ
وَأَصْحَـٰبُ لْـَٔيْكَةِ ۚ أُو۟لَـٰٓئِكَ ٱلْأَحْزَابُ﴾
১৩। আদ, কীলকধারী
ফেরাউন,১৩ সামূদ, লূতের সম্প্রদায় ও আইকাবাসীরা মিথ্যা আরোপ করেছিল। তারা ছিল
বিরাট দল।
﴿إِن كُلٌّ إِلَّا كَذَّبَ
ٱلرُّسُلَ فَحَقَّ عِقَابِ﴾
১৪। তাদের
প্রত্যেকেই রাসূলগণকে অস্বীকার করেছে। ফলে তাদের
প্রত্যেকের ওপর আমার শাস্তির ফায়সালা কার্যকর হয়েই গেছে।
﴿وَمَا يَنظُرُ هَـٰٓؤُلَآءِ
إِلَّا صَيْحَةًۭ وَٰحِدَةًۭ مَّا لَهَا مِن فَوَاقٍۢ﴾
১৫। এরাও শুধু
একটি বিষ্ফোরণের অপেক্ষায় আছে, যার পর আর দ্বিতীয় কোন
বিষ্ফোরণ হবে না।১৪
﴿وَقَالُوا۟ رَبَّنَا عَجِّل
لَّنَا قِطَّنَا قَبْلَ يَوْمِ ٱلْحِسَابِ﴾
১৬। আর এরা
বলে, হে আমাদের রব! হিসেবের দিনের আগেই আমাদের
অংশ দ্রুত আমাদের দিয়ে দাও।১৫
﴿ٱصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ
وَٱذْكُرْ عَبْدَنَا دَاوُۥدَ ذَا ٱلْأَيْدِ ۖ إِنَّهُۥٓ أَوَّابٌ﴾
১৭। হে নবী!
এরা যে কথা বলে তার ওপর সবর করো১৬ এবং এদের
সামনে আমার বান্দা দাউদের কাহিনী বর্ণনা করো,১৭ যে ছিল
বিরাট শক্তিধর,১৮ প্রত্যেকটি ব্যাপারে
ছিল আল্লাহ অভিমুখী।
﴿إِنَّا سَخَّرْنَا ٱلْجِبَالَ
مَعَهُۥ يُسَبِّحْنَ بِٱلْعَشِىِّ وَٱلْإِشْرَاقِ﴾
১৮।
পর্বতমালাকে আমি বিজিত করে রেখেছিলাম তাঁর সাথে, ফলে সকাল
সাঁঝে তারা তাঁর সাথে আমার গুণগান, পবিত্রতা ও মহিমা প্রচার
করতো।
﴿وَٱلطَّيْرَ مَحْشُورَةًۭ
ۖ كُلٌّۭ لَّهُۥٓ أَوَّابٌۭ﴾
১৯।
পাখ-পাখালী সমবেত হতো এবং সবাই তাঁর তাসবীহ অভিমুখী হয়ে যেতো।১৯
﴿وَشَدَدْنَا مُلْكَهُۥ وَءَاتَيْنَـٰهُ
ٱلْحِكْمَةَ وَفَصْلَ ٱلْخِطَابِ﴾
২০। আমি মজবুত
করে দিয়েছিলাম তাঁর সালতানাত, তাঁকে দান করেছিলাম হিকমত
এবং যোগ্যতা দিয়েছিলাম ফায়সালাকারী কথা বলার।২০
﴿وَهَلْ أَتَىٰكَ نَبَؤُا۟
ٱلْخَصْمِ إِذْ تَسَوَّرُوا۟ ٱلْمِحْرَابَ﴾
২১। তারপর
তোমার কাছে কি পৌঁছেছে মামলাকারীদের খবর, যারা দেওয়াল
টপকে তার মহলে পৌঁছে গিয়েছিল?২১
﴿إِذْ دَخَلُوا۟ عَلَىٰ دَاوُۥدَ
فَفَزِعَ مِنْهُمْ ۖ قَالُوا۟ لَا تَخَفْ ۖ خَصْمَانِ بَغَىٰ بَعْضُنَا عَلَىٰ بَعْضٍۢ
فَٱحْكُم بَيْنَنَا بِٱلْحَقِّ وَلَا تُشْطِطْ وَٱهْدِنَآ إِلَىٰ سَوَآءِ ٱلصِّرَٰطِ﴾
২২। যখন তারা
দাউদের কাছে পৌঁছলো, তাদেরকে দেখে সে ঘাবড়ে গেলো২২ তারা
বললো, “ভয় পাবেন না, আমরা মামলার দুই
পক্ষ। আমাদের এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর বাড়াবাড়ি
করেছে। আপনি আমাদের মধ্যে যথাযথ সত্য সহকারে
ফায়সালা করে দিন, বে-ইনসাফী করবেন না এবং আমাদেরকে সঠিক পথ
দেখিয়ে দিন।
﴿إِنَّ هَـٰذَآ أَخِى لَهُۥ
تِسْعٌۭ وَتِسْعُونَ نَعْجَةًۭ وَلِىَ نَعْجَةٌۭ وَٰحِدَةٌۭ فَقَالَ أَكْفِلْنِيهَا
وَعَزَّنِى فِى ٱلْخِطَابِ﴾
২৩। এ হচ্ছে
আমার ভাই,২৩ এর আছে নিরানব্বইটি
দুম্বী এবং আমার মাত্র একটি। সে আমাকে
বললো, এ একটি দুম্বীও আমাকে দিয়ে দাও এবং
কথাবার্তায় সে আমাকে দাবিয়ে নিল।”২৪
﴿قَالَ لَقَدْ ظَلَمَكَ بِسُؤَالِ
نَعْجَتِكَ إِلَىٰ نِعَاجِهِۦ ۖ وَإِنَّ كَثِيرًۭا مِّنَ ٱلْخُلَطَآءِ لَيَبْغِى بَعْضُهُمْ
عَلَىٰ بَعْضٍ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ وَقَلِيلٌۭ
مَّا هُمْ ۗ وَظَنَّ دَاوُۥدُ أَنَّمَا فَتَنَّـٰهُ فَٱسْتَغْفَرَ رَبَّهُۥ وَخَرَّ
رَاكِعًۭا وَأَنَابَ﴾
২৪। দাউদ জবাব
দিল, “এ ব্যক্তি নিজের দুম্বীর সাথে তোমার
দুম্বী যুক্ত করার দাবী করে অবশ্যই তোমার প্রতি জুলুম করেছে।২৫ আর আসল
ব্যাপার হচ্ছে, মিলেমিশে একসাথে বসবাসকারীরা অনেক সময় একে
অন্যের প্রতি বাড়াবাড়ি করে থাকে, তবে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ
করে একমাত্র তারাই এতে লিপ্ত হয় না এবং এ ধরনের লোক অতি অল্প।” (একথা
বলতে বলতেই) দাউদ বুঝতে পারলো, এ তো আমি আসলে তাকে
পরীক্ষা করেছি, কাজেই সে নিজের রবের কাছে ক্ষমা চাইলো,
সিজদাবনত হলো এবং তাঁর দিকে রুজু করলো।২৬
﴿فَغَفَرْنَا لَهُۥ ذَٰلِكَ
ۖ وَإِنَّ لَهُۥ عِندَنَا لَزُلْفَىٰ وَحُسْنَ مَـَٔابٍۢ﴾
২৫। তখন আমি
তাঁর ত্রুটি ক্ষমা করে দিলাম এবং নিশ্চয়ই আমার কাছে তাঁর জন্য রয়েছে নৈকট্যের
মর্যাদা ও উত্তম প্রতিদান।২৭
﴿يَـٰدَاوُۥدُ إِنَّا جَعَلْنَـٰكَ
خَلِيفَةًۭ فِى ٱلْأَرْضِ فَٱحْكُم بَيْنَ ٱلنَّاسِ بِٱلْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ ٱلْهَوَىٰ
فَيُضِلَّكَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَضِلُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ
لَهُمْ عَذَابٌۭ شَدِيدٌۢ بِمَا نَسُوا۟ يَوْمَ ٱلْحِسَابِ﴾
২৬। (আমি
তাঁকে বললাম) “হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, কাজেই তুমি
জনগণের মধ্যে সত্য সহকারে শাসন কর্তৃত্ব পরিচালনা করো এবং প্রবৃত্তির কামনার
অনুসরণ করো না, কারণ তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী
করবে। যারা আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী হয় অবশ্যই
তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি, যেহেতু তারা বিচার দিবসকে
ভুলে গেছে।”২৮
﴿وَمَا خَلَقْنَا ٱلسَّمَآءَ
وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَـٰطِلًۭا ۚ ذَٰلِكَ ظَنُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ۚ فَوَيْلٌۭ
لِّلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنَ ٱلنَّارِ﴾
২৭। আমি তো
আকাশ ও পৃথিবীকে এবং তাদের মাঝখানে যে জগত রয়েছে তাকে অনর্থক সৃষ্টি করিনি।২৯ এতো যারা
কুফরী করেছে তাদের ধারণা আর এ ধরনের কাফেরদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুনে ধ্বংস
হওয়া।
﴿أَمْ نَجْعَلُ ٱلَّذِينَ
ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ كَٱلْمُفْسِدِينَ فِى ٱلْأَرْضِ أَمْ نَجْعَلُ
ٱلْمُتَّقِينَ كَٱلْفُجَّارِ﴾
২৮। যারা ঈমান
আনে ও সৎকাজ করে আর যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে তাদেরকে আমি কি সমান করে
দেবো? মুত্তাকীদেরকে কি আমি দুষ্কৃতকারীদের মতো
করে দেবো?৩০
﴿كِتَـٰبٌ أَنزَلْنَـٰهُ إِلَيْكَ
مُبَـٰرَكٌۭ لِّيَدَّبَّرُوٓا۟ ءَايَـٰتِهِۦ وَلِيَتَذَكَّرَ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَـٰبِ﴾
২৯। ---এটি
একটি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ কিতাব,৩১ যা (হে
মুহাম্মাদ!) আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে এরা তার আয়াত
সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে এবং জ্ঞানী ও চিন্তাশীলরা তা থেকে শিক্ষা নেয়।
﴿وَوَهَبْنَا لِدَاوُۥدَ سُلَيْمَـٰنَ
ۚ نِعْمَ ٱلْعَبْدُ ۖ إِنَّهُۥٓ أَوَّابٌ﴾
৩০। আর দাউদকে
আমি সুলাইমান (রূপ) সন্তান দিয়েছি,৩২ সর্বোত্তম
বান্দা, বিপুলভাবে নিজের রবের দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।
﴿إِذْ عُرِضَ عَلَيْهِ بِٱلْعَشِىِّ
ٱلصَّـٰفِنَـٰتُ ٱلْجِيَادُ﴾
৩১।
উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সে সময় যখন অপরাহ্নে তার সামনে খুব পরিপাটি করে সাজানো দ্রুতগতি
সম্পন্ন ঘোড়া পেশ করা হলো।৩৩
﴿فَقَالَ إِنِّىٓ أَحْبَبْتُ
حُبَّ ٱلْخَيْرِ عَن ذِكْرِ رَبِّى حَتَّىٰ تَوَارَتْ بِٱلْحِجَابِ﴾
৩২। তখন সে
বললো, “আমি এ সম্পদ-প্রীতি৩৪ অবলম্বন
করেছি আমার রবের স্মরণের কারণে,” এমনকি যখন সে ঘোড়াগুলো
দৃষ্টি আগোচরে চলে গেলো
﴿رُدُّوهَا عَلَىَّ ۖ فَطَفِقَ
مَسْحًۢا بِٱلسُّوقِ وَٱلْأَعْنَاقِ﴾
৩৩। তখন (সে
হুকুম দিল) তাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনো তারপর তাদের পায়ের গোছায় ও ঘাড়ে হাত
বুলাতে লাগলো।৩৫
﴿وَلَقَدْ فَتَنَّا سُلَيْمَـٰنَ
وَأَلْقَيْنَا عَلَىٰ كُرْسِيِّهِۦ جَسَدًۭا ثُمَّ أَنَابَ﴾
৩৪। আর (দেখো)
সুলাইমানকেও আমি পরীক্ষায় ফেলেছি এবং তার আসনে নিক্ষেপ করেছি একটি শরীর। তারপর সে
রুজু করলো
﴿قَالَ رَبِّ ٱغْفِرْ لِى
وَهَبْ لِى مُلْكًۭا لَّا يَنۢبَغِى لِأَحَدٍۢ مِّنۢ بَعْدِىٓ ۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلْوَهَّابُ﴾
৩৫। এবং বললো, হে আমার রব!
আমাকে মাফ করে দাও এবং আমাকে এমন রাজত্ব দান করো যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভন
হবে না; নিঃসন্দেহে তুমিই আসল দাতা।”৩৬
﴿فَسَخَّرْنَا لَهُ ٱلرِّيحَ
تَجْرِى بِأَمْرِهِۦ رُخَآءً حَيْثُ أَصَابَ﴾
৩৬। তখন আমি
বাতাসকে তাঁর জন্য অনুগত করে দিলাম, যা তাঁর হুকুমে যেদিকে সে
চাইতো মৃদুমন্দ গতিতে প্রবাহিত হতো।৩৭
﴿وَٱلشَّيَـٰطِينَ كُلَّ بَنَّآءٍۢ
وَغَوَّاصٍۢ﴾
৩৭। আর
শয়তানদেরকে বিজিত করে দিয়েছি, সব ধরনের গৃহনির্মাণ
কারিগর ও ডুবুরী
﴿وَءَاخَرِينَ مُقَرَّنِينَ
فِى ٱلْأَصْفَادِ﴾
৩৮। এবং অন্য
যারা ছিল শৃংখলিত।৩৮
﴿هَـٰذَا عَطَآؤُنَا فَٱمْنُنْ
أَوْ أَمْسِكْ بِغَيْرِ حِسَابٍۢ﴾
৩৯। (আমি
তাঁকে বললাম) “এ আমার দান, তোমাকে ইখতিয়ার দেয়া হচ্ছে, যাকে চাও তাকে দাও এবং যাকে চাও তাকে দেয়া থেকে বিরত থাকো, কোন হিসেবে নেই।”৩৯
﴿وَإِنَّ لَهُۥ عِندَنَا لَزُلْفَىٰ
وَحُسْنَ مَـَٔابٍۢ﴾
৪০। অবশ্যই
তাঁর জন্য আমার কাছে রয়েছে নৈকট্যের মর্যাদা ও শুভ পরিণাম।৪০
﴿وَٱذْكُرْ عَبْدَنَآ أَيُّوبَ
إِذْ نَادَىٰ رَبَّهُۥٓ أَنِّى مَسَّنِىَ ٱلشَّيْطَـٰنُ بِنُصْبٍۢ وَعَذَابٍ﴾
৪১। আর স্মরণ
করো আমার বান্দা আইয়ূবের কথা৪১ যখন সে
তাঁর রবকে ডাকলো এই বলে যে, শয়তান আমাকে কঠিন যন্ত্রণা ও
কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।৪২
﴿ٱرْكُضْ بِرِجْلِكَ ۖ هَـٰذَا
مُغْتَسَلٌۢ بَارِدٌۭ وَشَرَابٌۭ﴾
৪২। (আমি
তাঁকে হুকুম দিলাম) তোমার পা দিয়ে ভূমিতে আঘাত করো, এ হচ্ছে
ঠাণ্ডা পানি গোসল করার জন্য এবং পান করার জন্য।৪৩
﴿وَوَهَبْنَا لَهُۥٓ أَهْلَهُۥ
وَمِثْلَهُم مَّعَهُمْ رَحْمَةًۭ مِّنَّا وَذِكْرَىٰ لِأُو۟لِى ٱلْأَلْبَـٰبِ﴾
৪৩। আমি তাঁকে
ফিরিয়ে দিলাম তাঁর পরিবার পরিজন এবং সেই সাথে তাদের মতো আরো,৪৪ নিজের
পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ এবং বুদ্ধি ও চিন্তাশীলদের জন্য শিক্ষণীয় হিসেবে।৪৫
﴿وَخُذْ بِيَدِكَ ضِغْثًۭا
فَٱضْرِب بِّهِۦ وَلَا تَحْنَثْ ۗ إِنَّا وَجَدْنَـٰهُ صَابِرًۭا ۚ نِّعْمَ ٱلْعَبْدُ
ۖ إِنَّهُۥٓ أَوَّابٌۭ﴾
৪৪। (আর আমি
তাঁকে বললাম) এক আটি ঝাড়ু নাও এবং তা দিয়ে আঘাত করো এবং নিজের কসম ভঙ্গ করো না।৪৬ আমি
তাঁকে সবরকারী পেয়েছি, উত্তম বান্দা ছিল সে, নিজের রবের অভিমুখী।৪৭
﴿وَٱذْكُرْ عِبَـٰدَنَآ إِبْرَٰهِيمَ
وَإِسْحَـٰقَ وَيَعْقُوبَ أُو۟لِى ٱلْأَيْدِى وَٱلْأَبْصَـٰرِ﴾
৪৫। আর আমার
বান্দা ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকূবের কথা স্মরণ করো। তারা ছিল
বড়ই কর্মশক্তির অধিকারী ও বিচক্ষণ৪৮
﴿إِنَّآ أَخْلَصْنَـٰهُم
بِخَالِصَةٍۢ ذِكْرَى ٱلدَّارِ﴾
৪৬। আমি একটি
নির্ভেজাল গুণের ভিত্তিতে তাদেরকে নির্বাচিত করেছিলাম এবং তা ছিল পরলোকের স্মরণ।৪৯
﴿وَإِنَّهُمْ عِندَنَا لَمِنَ
ٱلْمُصْطَفَيْنَ ٱلْأَخْيَارِ﴾
৪৭।
নিশ্চিতভাবে আমার কাছে তারা বিশিষ্ট সৎলোক হিসেবে গণ্য।
﴿وَٱذْكُرْ إِسْمَـٰعِيلَ
وَٱلْيَسَعَ وَذَا ٱلْكِفْلِ ۖ وَكُلٌّۭ مِّنَ ٱلْأَخْيَارِ﴾
৪৮। আর ইসমাঈল, আল ইয়াসা’৫০ ও যুল
কিফ্ল-এর৫১ কথা স্মরণ করা। এরা সবাই
সৎলোকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
﴿هَـٰذَا ذِكْرٌۭ ۚ وَإِنَّ
لِلْمُتَّقِينَ لَحُسْنَ مَـَٔابٍۢ﴾
৪৯। এ ছিল
একটি স্মরণ। (এখন শোনো) মুত্তাকীদের জন্য
নিশ্চিতভাবেই রয়েছে উত্তম আবাস
﴿جَنَّـٰتِ عَدْنٍۢ مُّفَتَّحَةًۭ
لَّهُمُ ٱلْأَبْوَٰبُ﴾
৫০।
-----চিরন্তন জান্নাত, যার দরোজাগুলো খোলা থাকবে তাদের জন্য।৫২
﴿مُتَّكِـِٔينَ فِيهَا يَدْعُونَ
فِيهَا بِفَـٰكِهَةٍۢ كَثِيرَةٍۢ وَشَرَابٍۢ﴾
৫১। সেখানে
তারা বসে থাকবে হেলান দিয়ে, বহুবিধ ফলমূল ও পানীয়ের
ফরমাশ করতে থাকবে
﴿وَعِندَهُمْ قَـٰصِرَٰتُ
ٱلطَّرْفِ أَتْرَابٌ﴾
৫২। এবং তাদের
কাছে থাকবে লজ্জাবতী কম বয়সী স্ত্রীরা।৫৩
﴿هَـٰذَا مَا تُوعَدُونَ لِيَوْمِ
ٱلْحِسَابِ﴾
৫৩। এসব এমন
জিনিস যেগুলো হিসেবের দিন দেবার জন্য তোমাদের কাছে অঙ্গীকার করা হচ্ছে।
﴿إِنَّ هَـٰذَا لَرِزْقُنَا
مَا لَهُۥ مِن نَّفَادٍ﴾
৫৪। এ হচ্ছে
আমার রিযিক, যা কখনো শেষ হবে না।
﴿هَـٰذَا ۚ وَإِنَّ لِلطَّـٰغِينَ
لَشَرَّ مَـَٔابٍۢ﴾
৫৫। এতো হচ্ছে
মুত্তাকীদের পরিণাম আর বিদ্রোহীদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্টতম আবাস
﴿جَهَنَّمَ يَصْلَوْنَهَا
فَبِئْسَ ٱلْمِهَادُ﴾
৫৬। জাহান্নাম, যেখানে তারা
দগ্ধীভূত হবে, সেটি বড়ই খারাপ আবাস।
﴿هَـٰذَا فَلْيَذُوقُوهُ حَمِيمٌۭ
وَغَسَّاقٌۭ﴾
৫৭। এ হচ্ছে
তাদের জন্য, কাজেই তারা স্বাদ আস্বাদন করুক ফুটন্ত
পানির, পুঁজের৫৪
﴿وَءَاخَرُ مِن شَكْلِهِۦٓ
أَزْوَٰجٌ﴾
৫৮। ও এ ধরনের
অন্যান্য তিক্ততার।
﴿هَـٰذَا فَوْجٌۭ مُّقْتَحِمٌۭ
مَّعَكُمْ ۖ لَا مَرْحَبًۢا بِهِمْ ۚ إِنَّهُمْ صَالُوا۟ ٱلنَّارِ﴾
৫৯। (নিজেদের
অনুসারীদের জাহান্নামের দিকে আসতে দেখে তারা পরস্পর বলাবলি করবেঃ) “এ একটি বাহিনী
তোমাদের কাছে ঢুকে চলে আসছে, এদের জন্য কোন স্বাগত
সম্ভাষণ নেই, এরা আগুনে ঝলসিত হবে।”
﴿قَالُوا۟ بَلْ أَنتُمْ لَا
مَرْحَبًۢا بِكُمْ ۖ أَنتُمْ قَدَّمْتُمُوهُ لَنَا ۖ فَبِئْسَ ٱلْقَرَارُ﴾
৬০। তারা
তাদেরকে জবাব দেবে, “না, বরং তোমরাই
ঝলসিত হচ্ছো, কোন অভিনন্দন নেই তোমাদের জন্য, তোমরাই তো আমাদের পূর্বে এ পরিণাম এনেছো, কেমন
নিকৃষ্ট এ আবাস!”
﴿قَالُوا۟ رَبَّنَا مَن قَدَّمَ
لَنَا هَـٰذَا فَزِدْهُ عَذَابًۭا ضِعْفًۭا فِى ٱلنَّارِ﴾
৬১। তারপর
তারা বলবে, “হে আমাদের রব! যে ব্যক্তি আমাদের এ
পরিণতিতে পৌঁছবার ব্যবস্থা করেছে তাকে দোজখে দ্বিগুণ শাস্তি দাও।”
﴿وَقَالُوا۟ مَا لَنَا لَا
نَرَىٰ رِجَالًۭا كُنَّا نَعُدُّهُم مِّنَ ٱلْأَشْرَارِ﴾
৬২। আর তারা
পরস্পর বলাবলি করবে, কি ব্যাপার, আমরা
তাদেরকে কোথাও দেখছি না, যাদেরকে আমরা দুনিয়ায় খারাপ মনে
করতাম?৫৫
﴿أَتَّخَذْنَـٰهُمْ سِخْرِيًّا
أَمْ زَاغَتْ عَنْهُمُ ٱلْأَبْصَـٰرُ﴾
৬৩। আমরা কি
অযথা তাদেরকে বিদ্রূপের পাত্র বানিয়ে নিয়েছিলাম অথবা তারা কোথাও দৃষ্টি অগোচরে আছে?”
﴿إِنَّ ذَٰلِكَ لَحَقٌّۭ تَخَاصُمُ
أَهْلِ ٱلنَّارِ﴾
৬৪। অবশ্যই
একথা সত্য, দোজখবাসীদের মধ্যে এসব বিবাদ হবে।
﴿قُلْ إِنَّمَآ أَنَا۠ مُنذِرٌۭ
ۖ وَمَا مِنْ إِلَـٰهٍ إِلَّا ٱللَّهُ ٱلْوَٰحِدُ ٱلْقَهَّارُ﴾
৬৫। হে নবী!৫৬ এদেরকে
বলো, “আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র।৫৭ আল্লাহ
ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই। তিনি একক, সবার ওপর
আধিপত্যশীল,
﴿رَبُّ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ
وَمَا بَيْنَهُمَا ٱلْعَزِيزُ ٱلْغَفَّـٰرُ﴾
৬৬। আকাশ ও
পৃথিবীর মালিক এবং এ দু’য়ের মধ্যে অবস্থানকারী সমস্ত জিনিসের মালিক, পরাক্রমশালী
ও ক্ষমাশীল।”
﴿قُلْ هُوَ نَبَؤٌا۟ عَظِيمٌ﴾
৬৭। এদেরকে
বলো, “এটি একটি মহাসংবাদ,
﴿أَنتُمْ عَنْهُ مُعْرِضُونَ﴾
৬৮। যা শুনে
তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও।”৫৮
﴿مَا كَانَ لِىَ مِنْ عِلْمٍۭ
بِٱلْمَلَإِ ٱلْأَعْلَىٰٓ إِذْ يَخْتَصِمُونَ﴾
৬৯। (এদেরকে
বলো) “ঊর্ধ্বলোকে যখন বিতর্ক হচ্ছিল সে সময়ের কোন জ্ঞান আমার ছিল না।
﴿إِن يُوحَىٰٓ إِلَىَّ إِلَّآ
أَنَّمَآ أَنَا۠ نَذِيرٌۭ مُّبِينٌ﴾
৭০। আমাকে তো
অহীর মাধ্যমে একথাগুলো এজন্য জানিয়ে দেয়া হয় যে আমি সুস্পষ্ট সতর্ককারী।”
﴿إِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَـٰٓئِكَةِ
إِنِّى خَـٰلِقٌۢ بَشَرًۭا مِّن طِينٍۢ﴾
৭১। যখন তোমার
রব ফেরশ্তাদেরকে বললো,৫৯ “আমি
মাটি দিয়ে একটি মানুষ তৈরি করবো।৬০
﴿فَإِذَا سَوَّيْتُهُۥ وَنَفَخْتُ
فِيهِ مِن رُّوحِى فَقَعُوا۟ لَهُۥ سَـٰجِدِينَ﴾
৭২। তারপর যখন
অমি তাকে পুরোপুরি তৈরি করে ফেলবো এবং তার মধ্যে নিজের প্রাণ ফুঁকে দেবো।৬১ তখন
তোমরা তার সামনে সিজদানত হয়ে যেয়ো।”৬২
﴿فَسَجَدَ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ
كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ﴾
৭৩। এ হুকুম
অনুযায়ী ফেরেশ্তারা সবাই সিজদানত হয়ে গেলো,
﴿إِلَّآ إِبْلِيسَ ٱسْتَكْبَرَ
وَكَانَ مِنَ ٱلْكَـٰفِرِينَ﴾
৭৪। কিন্তু
ইবলিস নিজে শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার করলো এবং সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলো।৬৩
﴿قَالَ يَـٰٓإِبْلِيسُ مَا
مَنَعَكَ أَن تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ ۖ أَسْتَكْبَرْتَ أَمْ كُنتَ مِنَ
ٱلْعَالِينَ﴾
৭৫। রব বললেন, “হে ইবলিস!
আমি আমার দু’হাত দিয়ে যাকে তৈরি করেছি তাকে সিজদা করতে তোমাকে কিসে বাঁধা দিয়েছে?৬৪ তুমি কি
বড়াই করছো, না তুমি কিছু উচ্চ মর্যাদার অধিকারী?”
﴿قَالَ أَنَا۠ خَيْرٌۭ مِّنْهُ
ۖ خَلَقْتَنِى مِن نَّارٍۢ وَخَلَقْتَهُۥ مِن طِينٍۢ﴾
৭৬। সে জবাব
দিল, “আমি তার তুলনায় শ্রেষ্ঠ, তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো আগুন থেকে এবং তাকে মাটি থেকে।”
﴿قَالَ فَٱخْرُجْ مِنْهَا
فَإِنَّكَ رَجِيمٌۭ﴾
৭৭। বললেন, “ঠিক আছে,
তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও,৬৫ তুমি বিতাড়িত৬৬
﴿وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِىٓ
إِلَىٰ يَوْمِ ٱلدِّينِ﴾
৭৮। এবং
প্রতিদান দিবস পর্যন্ত তোমার প্রতি আমার লানত।”৬৭
﴿قَالَ رَبِّ فَأَنظِرْنِىٓ
إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ﴾
৭৯। সে বললো, “হে আমার রব!
একথাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে এদেরকে যখন পুনরায় উঠানো হবে সে সময়
পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দাও।”
﴿قَالَ فَإِنَّكَ مِنَ ٱلْمُنظَرِينَ﴾
৮০। বললেন, ঠিক আছে,
তোমাকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দেয়া হলো
﴿إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْوَقْتِ
ٱلْمَعْلُومِ﴾
৮১। যার সময়
আমি জানি।”
﴿قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغْوِيَنَّهُمْ
أَجْمَعِينَ﴾
৮২। সে বললো, “তোমার
ইজ্জতের কসম, আমি এদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করবোই,
﴿إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ
ٱلْمُخْلَصِينَ﴾
৮৩। তবে
একমাত্র যাদেরকে তুমি একনিষ্ঠ করে নিয়েছো তাদেরকে ছাড়া।”৬৮ বললেন,
﴿قَالَ فَٱلْحَقُّ وَٱلْحَقَّ
أَقُولُ﴾
৮৪। “তাহলে
এটিই সত্য এবং আমি সত্যই বলে থাকি যে,
﴿لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ
مِنكَ وَمِمَّن تَبِعَكَ مِنْهُمْ أَجْمَعِينَ﴾
৮৫। আমি
তোমাকে৬৯ এবং এসব লোকদের মধ্য থেকে যারা তোমার
আনুগত্য করবে তাদের সবাইকে দিয়ে জাহান্নাম ভরে দেবো।”৭০
﴿قُلْ مَآ أَسْـَٔلُكُمْ
عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍۢ وَمَآ أَنَا۠ مِنَ ٱلْمُتَكَلِّفِينَ﴾
৮৬। (হে নবী!)
এদেরকে বলো, আমি এ প্রচার কাজের বিনিময়ে তোমাদের কাছে
কোন প্রতিদান চাইছি না৭১ এবং আমি
বানোয়াট লোকদের একজনও নই।৭২
﴿إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌۭ
لِّلْعَـٰلَمِينَ﴾
৮৭। এ তো একটি
উপদেশ সমস্ত পৃথিবীবাসীর জন্য
﴿وَلَتَعْلَمُنَّ نَبَأَهُۥ
بَعْدَ حِينٍۭ﴾
৮৮। এবং
সামান্য সময় অতিবাহিত হবার পরই এ সম্পর্কে তোমরা নিজেরাই জানতে পারবে।৭৩
--- সমাপ্ত ---
কোন মন্তব্য নেই
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।