সূরা আল ফাজর-বাংলা অনুবাদ

Share:

 

০৮৯. সূরা আল ফাজর

আয়াতঃ ৩০;  রুকুঃ ০১; মাক্কী

﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ﴾

পরম করুণাময় মেহেরবানী আল্লাহর নামে

﴿وَٱلْفَجْرِ﴾

ফজরের কসম

﴿وَلَيَالٍ عَشْرٍۢ﴾

দশটি রাতের,

﴿وَٱلشَّفْعِ وَٱلْوَتْرِ﴾

জোড় ও বেজোড়ের

﴿وَٱلَّيْلِ إِذَا يَسْرِ﴾

এবং রাতের কসম যখন তা বিদায় নিতে থাকে

﴿هَلْ فِى ذَٰلِكَ قَسَمٌۭ لِّذِى حِجْرٍ﴾

এর মধ্যে কোন বুদ্ধিমানের জন্য কি কোন কসম আছে?

﴿أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ﴾

তুমি কি দেখনি

﴿إِرَمَ ذَاتِ ٱلْعِمَادِ﴾

তোমার রব সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী আদে-ইরামের সাথে কি আচরণ করেছেন,

﴿ٱلَّتِى لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِى ٱلْبِلَـٰدِ﴾

যাদের মতো কোন জাতি দুনিয়ার কোন দেশে সৃষ্টি করা হয়নি?

﴿وَثَمُودَ ٱلَّذِينَ جَابُوا۟ ٱلصَّخْرَ بِٱلْوَادِ﴾

আর সামূদের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণকরেছিল?

﴿وَفِرْعَوْنَ ذِى ٱلْأَوْتَادِ﴾

১০ আর কীলকধারী ফেরাউনের সাথে?

﴿ٱلَّذِينَ طَغَوْا۟ فِى ٱلْبِلَـٰدِ﴾

১১ এরা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে বড়ই সীমালংঘন করেছিল

﴿فَأَكْثَرُوا۟ فِيهَا ٱلْفَسَادَ﴾

১২ এবং সেখানে বহু বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল

﴿فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ﴾

১৩ অবশেষে তোমার রব তাদের ওপর আযাবের কশাঘাত করলেন

﴿إِنَّ رَبَّكَ لَبِٱلْمِرْصَادِ﴾

১৪ আসলে তোমার রব ওঁৎপেতে আছেন

﴿فَأَمَّا ٱلْإِنسَـٰنُ إِذَا مَا ٱبْتَلَىٰهُ رَبُّهُۥ فَأَكْرَمَهُۥ وَنَعَّمَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَكْرَمَنِ﴾

১৫ কিন্তু মানুষের অবস্থা হচ্ছে এই যে, তার রব যখন তাকে পরীক্ষায় ফেলেন এবং তাকে সম্মান ও নিয়ামত দান করেন তখন সে বলে, আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন

﴿وَأَمَّآ إِذَا مَا ٱبْتَلَىٰهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَهَـٰنَنِ﴾

১৬ আবার যখন তিনি তাকে পরীক্ষায় ফেলেন এবং তার রিযিক তার জন্য সংকীর্ণ করে দেন তখন সে বলে, আমার রব আমাকে হেয় করেছেন

﴿كَلَّا ۖ بَل لَّا تُكْرِمُونَ ٱلْيَتِيمَ﴾

১৭ কখনোই নয়,১০ বরং তোমরা এতিমের সাথে সম্মানজনক ব্যবহার কর না১১

﴿وَلَا تَحَـٰٓضُّونَ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلْمِسْكِينِ﴾

১৮ এবং মিসকীনকে খাওয়াবার জন্য পরস্পরকে উৎসাহিত কর না১২

﴿وَتَأْكُلُونَ ٱلتُّرَاثَ أَكْلًۭا لَّمًّۭا﴾

১৯ তোমরা মীরাসের সব ধন-সম্পদ সম্পূর্ণরূপে খেয়ে ফেলো১৩

﴿وَتُحِبُّونَ ٱلْمَالَ حُبًّۭا جَمًّۭا﴾

২০ এবং এই ধন-সম্পদের প্রেমে তোমরা মারাত্মকভাবে বাঁধা পড়েছ১৪

﴿كَلَّآ إِذَا دُكَّتِ ٱلْأَرْضُ دَكًّۭا دَكًّۭا﴾

২১ কখনই নয়,১৫ পৃথিবীকে যখন চূর্ণবিচূর্ণ করে বালুকাময় করে দেয়া হবে

﴿وَجَآءَ رَبُّكَ وَٱلْمَلَكُ صَفًّۭا صَفًّۭا﴾

২২ এবং তোমার রব এমন অবস্থায় দেখা দেবেন১৬ যখন ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে

﴿وَجِا۟ىٓءَ يَوْمَئِذٍۭ بِجَهَنَّمَ ۚ يَوْمَئِذٍۢ يَتَذَكَّرُ ٱلْإِنسَـٰنُ وَأَنَّىٰ لَهُ ٱلذِّكْرَىٰ﴾

২৩ সেদিন জাহান্নামকে সামনে আনা হবে

﴿يَقُولُ يَـٰلَيْتَنِى قَدَّمْتُ لِحَيَاتِى﴾

২৪ সেদিন মানুষ বুঝবে কিন্তু তার বুঝতে পারায় কী লাভ?১৭ সে বলবে, হায়, যদি আমি নিজের জীবনের জন্য কিছু আগাম ব্যবস্থা করতাম!

﴿فَيَوْمَئِذٍۢ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُۥٓ أَحَدٌۭ﴾

২৫ সেদিন আল্লাহ‌ যে শাস্তি দেবেন তেমন শাস্তি কেউ দিতে পারবে না

﴿وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُۥٓ أَحَدٌۭ﴾

২৬ এবং আল্লাহ‌ যেমন বাঁধবেন আর কেউ তেমন বাঁধতে পারবে না

﴿يَـٰٓأَيَّتُهَا ٱلنَّفْسُ ٱلْمُطْمَئِنَّةُ﴾

২৭ (অন্যদিকে বলা হবে) হে প্রশান্ত আত্মা!১৮ 

﴿ٱرْجِعِىٓ إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةًۭ مَّرْضِيَّةًۭ﴾

২৮ চলো তোমার রবের দিকে,১৯ এমন অবস্থায় যে তুমি (নিজের শুভ পরিণতিতে) সন্তুষ্ট (এবং তোমরা রবের) প্রিয়পাত্র

﴿فَٱدْخُلِى فِى عِبَـٰدِى﴾

২৯ শামিল হয়ে যাও আমার (নেক) বান্দাদের মধ্যে

﴿وَٱدْخُلِى جَنَّتِى﴾

৩০ এবং প্রবেশ করো আমার জান্নাতে

--- সমাপ্ত ---

কোন মন্তব্য নেই

মতামতের জন্য ধন্যবাদ।