০৫৯. সূরা আল হাশর
আয়াতঃ ২২; রুকুঃ ০৩; মাদানী
﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ﴾
পরম
করুণাময়
মেহেরবানী আল্লাহর নামে
﴿سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِى
ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ ۖ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ﴾
১। আল্লাহরই তাসবীহ করছে আসমান ও যমীনের প্রতিটি জিনিস। তিনিই বিজয়ী এবং
মহাজ্ঞানী।১
﴿هُوَ ٱلَّذِىٓ أَخْرَجَ ٱلَّذِينَ
كَفَرُوا۟ مِنْ أَهْلِ ٱلْكِتَـٰبِ مِن دِيَـٰرِهِمْ لِأَوَّلِ ٱلْحَشْرِ ۚ مَا ظَنَنتُمْ
أَن يَخْرُجُوا۟ ۖ وَظَنُّوٓا۟ أَنَّهُم مَّانِعَتُهُمْ حُصُونُهُم مِّنَ ٱللَّهِ فَأَتَىٰهُمُ
ٱللَّهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوا۟ ۖ وَقَذَفَ فِى قُلُوبِهِمُ ٱلرُّعْبَ ۚ يُخْرِبُونَ
بُيُوتَهُم بِأَيْدِيهِمْ وَأَيْدِى ٱلْمُؤْمِنِينَ فَٱعْتَبِرُوا۟ يَـٰٓأُو۟لِى ٱلْأَبْصَـٰرِ﴾
২। তিনিই আহলে কিতাব কাফেরদেরকে প্রথম আক্রমণেই২ তাদের ঘরবাড়ী থেকে
বের করে দিয়েছেন।৩ তোমরা কখনো ধারণাও কর
নাই যে, তারা বের হয়ে যাবে। তারাও মনে করে বসেছিলো
যে, তাদের দুর্গসমূহ তাদেরকে আল্লাহর হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে।৪ কিন্তু আল্লাহ এমন
এক দিক থেকে তাদের ওপর চড়াও হয়েছেন, যে দিকের ধারণাও তারা
করতে পারেনি।৫ তিনি তাদের মনে ভীতি
সঞ্চার করে দিয়েছেন। ফল হয়েছে এই যে, তারা নিজ হাতেও নিজেদের
ঘর-বাড়ী ধ্বংস করছিলো এবং মু’মিনদের হাত দিয়েও ধ্বংস করেছিলো।৬ অতএব, হে দৃষ্টিশক্তির
অধিকারীরা,৭ শিক্ষাগ্রহণ করো।
﴿وَلَوْلَآ أَن كَتَبَ ٱللَّهُ
عَلَيْهِمُ ٱلْجَلَآءَ لَعَذَّبَهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا ۖ وَلَهُمْ فِى ٱلْـَٔاخِرَةِ
عَذَابُ ٱلنَّارِ﴾
৩। আল্লাহ যদি তাদের জন্য দেশান্তর হওয়া নির্দিষ্ট না
করতেন তাহলে তিনি দুনিয়াতেই তাদের শাস্তি দিতেন।৮ আর আখেরাতে তো তাদের
জন্য দোজখের শাস্তি রয়েছেই।
﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ شَآقُّوا۟
ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ ۖ وَمَن يُشَآقِّ ٱللَّهَ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ﴾
৪। এ হওয়ার কারণ হলো, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের
চরম বিরোধিত করেছে। যে ব্যক্তিই আল্লাহর বিরোধিতা করে, তাকে শাস্তি দেয়ার
ব্যাপারে আল্লাহ অত্যন্ত কঠোর।
﴿مَا قَطَعْتُم مِّن لِّينَةٍ
أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَآئِمَةً عَلَىٰٓ أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ ٱللَّهِ وَلِيُخْزِىَ
ٱلْفَـٰسِقِينَ﴾
৫। খেজুরের যেসব গাছ তোমরা কেটেছো কিংবা যেসব গাছকে তার
মূলের ওপর আগের মত দাঁড়িয়ে থাকতে দিয়েছো তা সবই ছিল আল্লাহর অনুমতিক্রমে।৯ (আল্লাহ এ অনুমতি দিয়েছিলেন
এ জন্য) যাতে তিনি ফাসেকদের লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেন।১০
﴿وَمَآ أَفَآءَ ٱللَّهُ
عَلَىٰ رَسُولِهِۦ مِنْهُمْ فَمَآ أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍۢ وَلَا رِكَابٍۢ
وَلَـٰكِنَّ ٱللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُۥ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ ۚ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ
شَىْءٍۢ قَدِيرٌۭ﴾
৬। আল্লাহ তাআ’লা
যেসব সম্পদ তাদের দখলমুক্ত করে তাঁর রাসূলের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন১১ তা এমন সম্পদ নয়, যার জন্য
তোমাদের ঘোড়া বা উট পরিচালনা করতে হয়েছে। বরং
আল্লাহ সবকিছুই করতে সক্ষম।১২
﴿مَّآ أَفَآءَ ٱللَّهُ عَلَىٰ
رَسُولِهِۦ مِنْ أَهْلِ ٱلْقُرَىٰ فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَـٰمَىٰ
وَٱلْمَسَـٰكِينِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِ كَىْ لَا يَكُونَ دُولَةًۢ بَيْنَ ٱلْأَغْنِيَآءِ
مِنكُمْ ۚ وَمَآ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمْ عَنْهُ فَٱنتَهُوا۟
ۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ﴾
৭। এসব জনপদের
দখলমুক্ত করে যে জিনিসই আল্লাহ তাঁর রাসূলকে ফিরিয়ে দেন তা আল্লাহ, রাসূল,
আত্মীয়স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন
এবং মুসাফিরদের জন্য।১৩ যাতে তা তোমাদের সম্পদশালীদের
মধ্যেই কেবল আবর্তিত হতে না থাকে।১৪ রাসূল যা কিছু তোমাদের দেন তা
গ্রহণ করো এবং যে জিনিস থেকে তিনি তোমাদের বিরত রাখেন তা থেকে বিরত থাকো। আল্লাহকে
ভয় করো। আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।১৫
﴿لِلْفُقَرَآءِ ٱلْمُهَـٰجِرِينَ
ٱلَّذِينَ أُخْرِجُوا۟ مِن دِيَـٰرِهِمْ وَأَمْوَٰلِهِمْ يَبْتَغُونَ فَضْلًۭا مِّنَ
ٱللَّهِ وَرِضْوَٰنًۭا وَيَنصُرُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓ ۚ أُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلصَّـٰدِقُونَ﴾
৮। (তাছাড়াও এ
সম্পদ) সেই সব গরীব মুহাজিরদের জন্য যারা নিজেদের ঘর-বাড়ী ও বিষয়-সম্পদ থেকে
বহিষ্কৃত হয়েছে।১৬ এসব লোক চায় আল্লাহর
মেহেরবানী এবং সন্তুষ্টি। আর প্রস্তুত থাকে আল্লাহ ও
তার রাসূলকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য। এরাই হলো
সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ লোক।
﴿وَٱلَّذِينَ تَبَوَّءُو ٱلدَّارَ
وَٱلْإِيمَـٰنَ مِن قَبْلِهِمْ يُحِبُّونَ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِمْ وَلَا يَجِدُونَ
فِى صُدُورِهِمْ حَاجَةًۭ مِّمَّآ أُوتُوا۟ وَيُؤْثِرُونَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ وَلَوْ
كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌۭ ۚ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِۦ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ﴾
৯। (আবার তা
সেই সব লোকের জন্যও) যারা এসব মুহাজিরদের আগমনের পূর্বেই ঈমান এনে দারুল হিজরাতে
বসবাস করছিলো।১৭ তারা ভালবাসে সেই সব লোকদের
যারা হিজরত করে তাদের কাছে এসেছে। যা কিছুই
তাদের দেয়া হোক না কেন এরা নিজেদের মনে তার কোন প্রয়োজন পর্যন্ত অনুভব করে না এবং
যত অভাবগ্রস্তই হোক না কেন নিজেদের চেয়ে অন্যদের অগ্রাধিকার দান করে।১৮ মূলত
﴿وَٱلَّذِينَ جَآءُو مِنۢ
بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا
بِٱلْإِيمَـٰنِ وَلَا تَجْعَلْ فِى قُلُوبِنَا غِلًّۭا لِّلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ رَبَّنَآ
إِنَّكَ رَءُوفٌۭ رَّحِيمٌ﴾
১০। (তা সেই সব
লোকের জন্যও) যারা এসব অগ্রবর্তী লোকদের পরে এসেছে।২০ যারা বলেঃ হে আমাদের রব, আমাদেরকে এবং
আমাদের সেই সব ভাইকে মাফ করে দাও যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে। আর আমাদের
মনে ঈমানদারদের জন্য কোন হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের
রব, তুমি
﴿أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ
نَافَقُوا۟ يَقُولُونَ لِإِخْوَٰنِهِمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنْ أَهْلِ ٱلْكِتَـٰبِ
لَئِنْ أُخْرِجْتُمْ لَنَخْرُجَنَّ مَعَكُمْ وَلَا نُطِيعُ فِيكُمْ أَحَدًا أَبَدًۭا
وَإِن قُوتِلْتُمْ لَنَنصُرَنَّكُمْ وَٱللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَـٰذِبُونَ﴾
১১। তোমরা২২ কি সেই সব লোকদের দেখনি যারা
মুনাফিকীর আচরণ গ্রহণ করেছে? তারা তাদের কাফের আহলে
কিতাব ভাইদের বলেঃ যদি তোমাদের বহিষ্কার করা হয়, তাহলে আমরাও
তোমাদের সাথে বেরিয়ে যাবো। তোমাদের
ব্যাপারে কারো কথাই আমরা শুনবো না। আর যদি
তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয় তাহলে আমরা তোমাদের সাহায্য করবো। কিন্তু
আল্লাহ সাক্ষী, তারা পাকা মিথ্যাবাদী।
﴿لَئِنْ أُخْرِجُوا۟ لَا يَخْرُجُونَ
مَعَهُمْ وَلَئِن قُوتِلُوا۟ لَا يَنصُرُونَهُمْ وَلَئِن نَّصَرُوهُمْ لَيُوَلُّنَّ
ٱلْأَدْبَـٰرَ ثُمَّ لَا يُنصَرُونَ﴾
১২। যদি
তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়, তাহলে এরা তাদের সাথে কখনো বেরিয়ে
যাবে না। আর যদি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়
তাহলে তারা তাদেরকে সাহায্যও করবে না। আর যদি
সাহায্য করেও তাহলে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে। অতঃপর
কোনখান থেকে কোন সাহায্য তারা পাবে না।
﴿لَأَنتُمْ أَشَدُّ رَهْبَةًۭ
فِى صُدُورِهِم مِّنَ ٱللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌۭ لَّا يَفْقَهُونَ﴾
১৩। তাদের মনে
আল্লাহর চেয়ে তোমাদের ভয়ই বেশী।২৩ কারণ, তারা এমন লোক
যাদের কোন বিবেব-বুদ্ধি নেই।২৪
﴿لَا يُقَـٰتِلُونَكُمْ جَمِيعًا
إِلَّا فِى قُرًۭى مُّحَصَّنَةٍ أَوْ مِن وَرَآءِ جُدُرٍۭ ۚ بَأْسُهُم بَيْنَهُمْ
شَدِيدٌۭ ۚ تَحْسَبُهُمْ جَمِيعًۭا وَقُلُوبُهُمْ شَتَّىٰ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌۭ
لَّا يَعْقِلُونَ﴾
১৪। এরা
একত্রিত হয়ে (খোলা ময়দানে) কখনো তোমাদের মোকাবিলা করবে না। লড়াই
করলেও দুর্গাভ্যন্তরে অবস্থিত জনপদে বা প্রাচীরের আড়ালে লুকিয়ে থেকে করবে। তাদের
আভ্যন্তরীণ পারস্পরিক কোন্দল অত্যন্ত কঠিন। তুমি
তাদের ঐক্যবদ্ধ মনে কর। কিন্তু তাদের মন পরস্পর থেকে
বিচ্ছিন্ন।২৫ তাদের এ অবস্থার কারণ হলো
তারা জ্ঞান ও বুদ্ধিহীন।
﴿كَمَثَلِ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ
قَرِيبًۭا ۖ ذَاقُوا۟ وَبَالَ أَمْرِهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌۭ﴾
১৫। এরা তাদের
কিছুকাল পূর্বের সেই সব লোকের মত যারা তাদের কৃতকর্মের পরিণাম ভোগ করেছে।২৬ তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।
﴿كَمَثَلِ ٱلشَّيْطَـٰنِ إِذْ
قَالَ لِلْإِنسَـٰنِ ٱكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّى بَرِىٓءٌۭ مِّنكَ إِنِّىٓ
أَخَافُ ٱللَّهَ رَبَّ ٱلْعَـٰلَمِينَ﴾
১৬। এদের
উদাহরণ হলো শয়তান। সে প্রথমে মানুষকে বলে কুফরী কর। যখন মানুষ
কুফরী করে বসে তখন সে বলে, আমি তোমার দায়িত্ব থেকে মুক্ত। আমি তো
আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে ভয় পাই।২৭
﴿فَكَانَ عَـٰقِبَتَهُمَآ
أَنَّهُمَا فِى ٱلنَّارِ خَـٰلِدَيْنِ فِيهَا ۚ وَذَٰلِكَ جَزَٰٓؤُا۟ ٱلظَّـٰلِمِينَ﴾
১৭। উভয়েরই
পরিণাম হবে এই যে, তারা চিরদিনের জন্য জাহান্নামী হবে
জালেমদের প্রতিফল এটাই।
﴿يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ
ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَلْتَنظُرْ نَفْسٌۭ مَّا قَدَّمَتْ لِغَدٍۢ ۖ وَٱتَّقُوا۟
ٱللَّهَ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرٌۢ بِمَا تَعْمَلُونَ﴾
১৮। হে২৮ ঈমানদাররা,
আল্লাহকে ভয় করো। আর
প্রত্যেকেই যেন লক্ষ রাখে, সে আগামীকালের জন্য কি প্রস্তুতি
নিয়ে রেখেছে।২৯ আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আল্লাহ
নিশ্চিতভাবেই তোমাদের সেই সব কাজ সম্পর্কে অবহিত যা তোমরা করে থাক।
﴿وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ
نَسُوا۟ ٱللَّهَ فَأَنسَىٰهُمْ أَنفُسَهُمْ ۚ أُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَـٰسِقُونَ﴾
১৯। তোমরা
তাদের মত হয়ো না যারা আল্লাহকে ভুলে যাওয়ার কারণে আল্লাহ তাদের নিজেদেরকেই ভুলিয়ে
দিয়েছেন।৩০ তারাই ফাসেক।
﴿لَا يَسْتَوِىٓ أَصْحَـٰبُ
ٱلنَّارِ وَأَصْحَـٰبُ ٱلْجَنَّةِ ۚ أَصْحَـٰبُ ٱلْجَنَّةِ هُمُ ٱلْفَآئِزُونَ﴾
২০। যারা দোজখে
যাবে এবং যারা জান্নাতে যাবে তারা পরস্পর সমান হতে পারে না। যারা
জান্নাতে যাবে তারাই সফলকাম।
﴿لَوْ أَنزَلْنَا هَـٰذَا
ٱلْقُرْءَانَ عَلَىٰ جَبَلٍۢ لَّرَأَيْتَهُۥ خَـٰشِعًۭا مُّتَصَدِّعًۭا مِّنْ خَشْيَةِ
ٱللَّهِ ۚ وَتِلْكَ ٱلْأَمْثَـٰلُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ﴾
২১। আমি যদি এই
কুরআনকে কোন পাহাড়ের ওপর নাযিল করতাম তাহলে তুমি দেখতে পেতে তা আল্লাহর ভয়ে ধসে
পড়ছে এবং ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।৩১ আমি মানুষের সামনে এসব উদাহরণ
এ জন্য পেশ করি যাতে তারা (নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে) ভেবে দেখে।
﴿هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِى لَآ
إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَـٰلِمُ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَـٰدَةِ ۖ هُوَ ٱلرَّحْمَـٰنُ ٱلرَّحِيمُ﴾
২২। আল্লাহই
সেই৩২ মহান
সত্তা যিনি ছাড়া আর কোন মা’বুদ নেই।৩৩ অদৃশ্য ও প্রকাশ্য সবকিছুই
তিনি জানেন।৩৪ তিনিই রাহমান ও রাহীম।৩৫
﴿هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِى لَآ
إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْمَلِكُ ٱلْقُدُّوسُ ٱلسَّلَـٰمُ ٱلْمُؤْمِنُ ٱلْمُهَيْمِنُ
ٱلْعَزِيزُ ٱلْجَبَّارُ ٱلْمُتَكَبِّرُ ۚ سُبْحَـٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ﴾
২৩। আল্লাহ-ই
সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি
বাদশাহ,৩৬ অতীব পবিত্র,৩৭ পূর্ণাঙ্গ শান্তি,৩৮ নিরাপত্তাদানকারী,৩৯ হিফাযতকারী,৪০ সবার ওপর বিজয়ী,৪১ শক্তি বলে নিজের নির্দেশ
কার্যকরী করতে সক্ষম।৪২ এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই
বিরাজমান থাকতে সক্ষম।৪৩ আল্লাহ সেই সব
﴿هُوَ ٱللَّهُ ٱلْخَـٰلِقُ
ٱلْبَارِئُ ٱلْمُصَوِّرُ ۖ لَهُ ٱلْأَسْمَآءُ ٱلْحُسْنَىٰ ۚ يُسَبِّحُ لَهُۥ مَا فِى
ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۖ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ﴾
২৪। সেই পরম
সত্তা তো আল্লাহ-ই যিনি সৃষ্টির পরিকল্পনাকারী, পরিকল্পনা
বাস্তবায়নের র্নিদেশ দানকারী এবং সেই অনুপাতে রূপদানকারী।৪৫ উত্তম নামসমূহ তাঁর-ই।৪৬ আসমান ও যমীনের সবকিছু তাঁর
তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করে চলেছে।৪৭ তিনি
পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী।৪৮
--- সমাপ্ত ---
কোন মন্তব্য নেই
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।