০৩৫. সূরা ফাতির
আয়াতঃ ৫৪; রুকুঃ ০৬; মাক্কী
﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ﴾
পরম
করুণাময়
মেহেরবানী আল্লাহর নামে
﴿ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ فَاطِرِ
ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ جَاعِلِ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةِ رُسُلًا أُو۟لِىٓ أَجْنِحَةٍۢ
مَّثْنَىٰ وَثُلَـٰثَ وَرُبَـٰعَ ۚ يَزِيدُ فِى ٱلْخَلْقِ مَا يَشَآءُ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ
عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌۭ﴾
১। প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, যিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর
নির্মাতা এবং ফেরেশতাদেরকে বাণীবাহক নিয়োগকারী১ (এমন সব ফেরেশতা) যাদের দুই
দুই তিন তিন ও চার চারটি ডানা আছে।২ নিজের সৃষ্টির
﴿مَّا يَفْتَحِ ٱللَّهُ لِلنَّاسِ
مِن رَّحْمَةٍۢ فَلَا مُمْسِكَ لَهَا ۖ وَمَا يُمْسِكْ فَلَا مُرْسِلَ لَهُۥ مِنۢ بَعْدِهِۦ
ۚ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ﴾
২। আল্লাহ যে রহমতের দরজা মানুষের জন্য খুলে দেন তা
রুদ্ধ করার কেউ নেই এবং যা তিনি রুদ্ধ করে দেন তা আল্লাহর পরে আর কেউ খোলার নেই।৪ তিনি পরাক্রমশালী ও জ্ঞানী।৫
﴿يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱذْكُرُوا۟
نِعْمَتَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ ۚ هَلْ مِنْ خَـٰلِقٍ غَيْرُ ٱللَّهِ يَرْزُقُكُم مِّنَ
ٱلسَّمَآءِ وَٱلْأَرْضِ ۚ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ فَأَنَّىٰ تُؤْفَكُونَ﴾
৩। হে লোকেরা! তোমাদের প্রতি আল্লাহর যেসব অনুগ্রহ
রয়েছে সেগুলো স্মরণ করো। ৬ আল্লাহ ছাড়া কি আর
কোন স্রষ্টা আছে, যে তোমাদের আকাশ ও পৃথিবী থেকে রিযিক দেয়?
তিনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই, তোমরা কোথা
থেকে প্রতারিত হচ্ছো?৭
﴿وَإِن يُكَذِّبُوكَ فَقَدْ
كُذِّبَتْ رُسُلٌۭ مِّن قَبْلِكَ ۚ وَإِلَى ٱللَّهِ تُرْجَعُ ٱلْأُمُورُ﴾
৪। এখন যদি (হে নবী!) এরা তোমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে
থাকে৮ (তাহলে এটা কোন নতুন কথা
নয়) তোমার পূর্বেও বহু রাসূলের প্রতি মিথ্যা আরোপিত হয়েছে এবং সমস্ত বিষয় শেষ
পর্যন্ত আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।৯
﴿يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّ
وَعْدَ ٱللَّهِ حَقٌّۭ ۖ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا ۖ وَلَا يَغُرَّنَّكُم
بِٱللَّهِ ٱلْغَرُورُ﴾
৫। হে লোকেরা! আল্লাহর প্রতিশ্রুতি নিশ্চিতভাবেই সত্য,১০ কাজেই দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদের প্রতারিত
না করে ১১ এবং সেই বড় প্রতারক যেন তোমাদেরকে
আল্লাহর ব্যাপারে ধোঁকা দিতে না পারে।১২
﴿إِنَّ ٱلشَّيْطَـٰنَ لَكُمْ
عَدُوٌّۭ فَٱتَّخِذُوهُ عَدُوًّا ۚ إِنَّمَا يَدْعُوا۟ حِزْبَهُۥ لِيَكُونُوا۟ مِنْ
أَصْحَـٰبِ ٱلسَّعِيرِ﴾
৬। আসলে
শয়তান তোমাদের শত্রু, তাই তোমরাও তাকে নিজেদের শত্রুই মনে
করো। সে তো নিজের অনুসারীদেরকে নিজের পথে
এজন্য ডাকছে যাতে তারা দোজখীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
﴿ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَهُمْ
عَذَابٌۭ شَدِيدٌۭ ۖ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ لَهُم مَّغْفِرَةٌۭ
وَأَجْرٌۭ كَبِيرٌ﴾
৭। যারা কুফরী
করবে১৩ তাদের
জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি আর যারা ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে তাদের জন্য রয়েছে
মাগফিরাত ও বড় পুরস্কার।১৪
﴿أَفَمَن زُيِّنَ لَهُۥ سُوٓءُ
عَمَلِهِۦ فَرَءَاهُ حَسَنًۭا ۖ فَإِنَّ ٱللَّهَ يُضِلُّ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِى مَن
يَشَآءُ ۖ فَلَا تَذْهَبْ نَفْسُكَ عَلَيْهِمْ حَسَرَٰتٍ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ
بِمَا يَصْنَعُونَ﴾
৮। (এমন১৫ ব্যক্তির
বিভ্রান্তির কোন শেষ আছে কি) যার জন্য তার খারাপ কাজকে শোভন করে দেয়া হয়েছে এবং
সে তাকে ভালো মনে করছে?১৬ আসলে
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্তিতে লিপ্ত করেন এবং যাকে চান সঠিক পথ দেখিয়ে দেন। কাজেই (হে
নবী!) অযথা ওদের জন্য দুঃখে ও শোকে তুমি প্রাণপাত করো না।১৭ ওরা যা
কিছু করছে আল্লাহ তা ভালোভাবে জানেন।১৮
﴿وَٱللَّهُ ٱلَّذِىٓ أَرْسَلَ
ٱلرِّيَـٰحَ فَتُثِيرُ سَحَابًۭا فَسُقْنَـٰهُ إِلَىٰ بَلَدٍۢ مَّيِّتٍۢ فَأَحْيَيْنَا
بِهِ ٱلْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ كَذَٰلِكَ ٱلنُّشُورُ﴾
৯। আল্লাহই
বায়ু প্রেরণ করেন তারপর তা মেঘমালা উঠায় এরপর আমি তাকে নিয়ে যাই একটি জনমানবহীন
এলাকার দিকে এবং মৃত পতিত যমীনকে সঞ্জীবিত করে তুলি। মৃত
মানুষদের বেঁচে ওঠাও তেমনি ধরনের হবে।১৯
﴿مَن كَانَ يُرِيدُ ٱلْعِزَّةَ
فَلِلَّهِ ٱلْعِزَّةُ جَمِيعًا ۚ إِلَيْهِ يَصْعَدُ ٱلْكَلِمُ ٱلطَّيِّبُ وَٱلْعَمَلُ
ٱلصَّـٰلِحُ يَرْفَعُهُۥ ۚ وَٱلَّذِينَ يَمْكُرُونَ ٱلسَّيِّـَٔاتِ لَهُمْ عَذَابٌۭ
شَدِيدٌۭ ۖ وَمَكْرُ أُو۟لَـٰٓئِكَ هُوَ يَبُورُ﴾
১০। যে সম্মান
চায় তার জানা উচিত সমস্ত সম্মান একমাত্র আল্লাহরই।২০ তাঁর
কাছে শুধুমাত্র পবিত্র কথাই ওপরের দিকে আরোহণ করে এবং সৎকাজ তাকে ওপরে ওঠায়।২১ আর যারা অনর্থক চালবাজী করে২২ তাদের
জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি এবং তাদের চালবাজী নিজেই ধ্বংস হবে।
﴿وَٱللَّهُ خَلَقَكُم مِّن
تُرَابٍۢ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍۢ ثُمَّ جَعَلَكُمْ أَزْوَٰجًۭا ۚ وَمَا تَحْمِلُ مِنْ
أُنثَىٰ وَلَا تَضَعُ إِلَّا بِعِلْمِهِۦ ۚ وَمَا يُعَمَّرُ مِن مُّعَمَّرٍۢ وَلَا
يُنقَصُ مِنْ عُمُرِهِۦٓ إِلَّا فِى كِتَـٰبٍ ۚ إِنَّ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٌ﴾
১১। আল্লাহ২৩ তোমাদের
সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে তারপর শুক্র থেকে২৪ এরপর
তোমাদের জুটি বানিয়ে দিয়েছেন (অর্থাৎ পুরুষ ও নারী)। কোন নারী
গর্ভধারণ এবং সন্তান প্রসব করলে কেবলমাত্র আল্লাহর জানা মতেই তা করে থাকে। কোন আয়ু
লাভকারী আয়ু লাভ করলে এবং কার আয়ু কিছু কম করা হলে তা অবশ্যই একটি কিতাবে লেখা
থাকে।২৫ আল্লাহর জন্য এসব
একদম সহজ।২৬
﴿وَمَا يَسْتَوِى ٱلْبَحْرَانِ
هَـٰذَا عَذْبٌۭ فُرَاتٌۭ سَآئِغٌۭ شَرَابُهُۥ وَهَـٰذَا مِلْحٌ أُجَاجٌۭ ۖ وَمِن
كُلٍّۢ تَأْكُلُونَ لَحْمًۭا طَرِيًّۭا وَتَسْتَخْرِجُونَ حِلْيَةًۭ تَلْبَسُونَهَا
ۖ وَتَرَى ٱلْفُلْكَ فِيهِ مَوَاخِرَ لِتَبْتَغُوا۟ مِن فَضْلِهِۦ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ﴾
১২। পানির দু’টি
উৎস সমান নয়।২৭ একটি
সুমিষ্ট ও পিপাসা নিবারণকারী সুস্বাদু পানীয় এবং অন্যটি ভীষণ লবণাক্ত যা গলা ছিলে
দেয়, কিন্তু উভয়টি থেকে তোমরা তরতাজা গোশত লাভ করে থাকো,২৮ পরিধান
করার জন্য সৌন্দর্যের সরঞ্জাম বের করো২৯ এবং এ
পানির মধ্যে তোমরা দেখতে থাকো নৌযান তার বুক চিরে ভেসে চলছে, যাতে তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো এবং তাঁর প্রতি কতৃজ্ঞ হও।
﴿يُولِجُ ٱلَّيْلَ فِى ٱلنَّهَارِ
وَيُولِجُ ٱلنَّهَارَ فِى ٱلَّيْلِ وَسَخَّرَ ٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَ كُلٌّۭ يَجْرِى
لِأَجَلٍۢ مُّسَمًّۭى ۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ ٱلْمُلْكُ ۚ وَٱلَّذِينَ
تَدْعُونَ مِن دُونِهِۦ مَا يَمْلِكُونَ مِن قِطْمِيرٍ﴾
১৩। তিনি দিনের
মধ্যে রাতকে এবং রাতের মধ্যে দিনকে প্রবেশ করিয়ে নিয়ে আসেন।৩০ চন্দ্র ও
সূর্যকে তিনি অনুগত করে রেখেছেন।৩১ এসব কিছু
একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। এ আল্লাহই
(এ সমস্তই যাঁর কাজ) তোমাদের রব, রাজত্ব তাঁরই। তাঁকে বাদ
দিয়ে অন্য যাদেরকে তোমরা ডাকছো তারা তো একটি শুকনো ভূমির৩২ অধিকারীও
নয়।
﴿إِن تَدْعُوهُمْ لَا يَسْمَعُوا۟
دُعَآءَكُمْ وَلَوْ سَمِعُوا۟ مَا ٱسْتَجَابُوا۟ لَكُمْ ۖ وَيَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ
يَكْفُرُونَ بِشِرْكِكُمْ ۚ وَلَا يُنَبِّئُكَ مِثْلُ خَبِيرٍ﴾
১৪। তাদেরকে
ডাকলে তারা তোমাদের ডাক শুনতে পারে না এবং শুনে নিলেও তোমাদের কোন জবাব দিতে
পারে না।৩৩ এবং কিয়ামতের দিন
তারা তোমাদের শিরক অস্বীকার করবে।৩৪ প্রকৃত
অবস্থান এমন সঠিক খবর একজন সর্বজ্ঞ ছাড়া কেউ তোমাদের দিতে পারে না।৩৫
﴿يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ أَنتُمُ
ٱلْفُقَرَآءُ إِلَى ٱللَّهِ ۖ وَٱللَّهُ هُوَ ٱلْغَنِىُّ ٱلْحَمِيدُ﴾
১৫। হে
লোকেরা! তোমরাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী৩৬ এবং
আল্লাহ তো অভাবমুক্ত ও প্রশংসার্হ।৩৭
﴿إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ
وَيَأْتِ بِخَلْقٍۢ جَدِيدٍۢ﴾
১৬। তিনি চাইলে
তোমাদের সরিয়ে কোন নতুন সৃষ্টি তোমাদের জায়গায় আনবেন।
﴿وَمَا ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ
بِعَزِيزٍ﴾
১৭। এমনটি করা
আল্লাহর জন্য মোটেই কঠিন নয়।৩৮
﴿وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌۭ
وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ وَإِن تَدْعُ مُثْقَلَةٌ إِلَىٰ حِمْلِهَا لَا يُحْمَلْ مِنْهُ شَىْءٌۭ
وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَىٰٓ ۗ إِنَّمَا تُنذِرُ ٱلَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِٱلْغَيْبِ
وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ ۚ وَمَن تَزَكَّىٰ فَإِنَّمَا يَتَزَكَّىٰ لِنَفْسِهِۦ ۚ
وَإِلَى ٱللَّهِ ٱلْمَصِيرُ﴾
১৮। কোন বোঝা
বহনকারী অন্যের বোঝা উঠাবে না।৩৯ আর যদি
ভারাক্রান্ত ব্যক্তি নিজের বোঝা উঠাবার জন্য ডাকে, তাহলে
তার বোঝার সামান্য একটি অংশ উঠাবার জন্যও কেউ আসবে না, সে
তার নিকটতম আত্মীয় স্বজন হলেও।৪০ (হে
নবীঃ) তুমি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারো যারা না দেখে তাদের রবকে ভয় করে এবং
নামায কায়েম করে।৪১ আর যে
ব্যক্তিই পবিত্রতা অবলম্বন করে সে নিজেরই ভালোর জন্য করে এবং ফিরে আসতে হবে
সবাইকে আল্লাহরই দিকে।
﴿وَمَا يَسْتَوِى ٱلْأَعْمَىٰ
وَٱلْبَصِيرُ﴾
১৯। অন্ধ ও
চক্ষুষ্মান সমান নয়,
﴿وَلَا ٱلظُّلُمَـٰتُ وَلَا
ٱلنُّورُ﴾
২০। না অন্ধকার
ও আলো সমান পর্যায়ভুক্ত,
﴿وَلَا ٱلظِّلُّ وَلَا ٱلْحَرُورُ﴾
২১। না শীতল
ছায়া ও রোদের তাপ একই পর্যায়ের
﴿وَمَا يَسْتَوِى ٱلْأَحْيَآءُ
وَلَا ٱلْأَمْوَٰتُ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُسْمِعُ مَن يَشَآءُ ۖ وَمَآ أَنتَ بِمُسْمِعٍۢ
مَّن فِى ٱلْقُبُورِ﴾
২২। এবং না
জীবিত ও মৃতরা সমান।৪২ আল্লাহ
যাকে চান শুনান কিন্তু (হে নবী!) তুমি তাদেরকে শুনাতে পারো না যারা কবরে শায়িত
রয়েছে।৪৩
﴿إِنْ أَنتَ إِلَّا نَذِيرٌ﴾
২৩। তুমি তো
একজন সতর্ককারী মাত্র।৪৪
﴿إِنَّآ أَرْسَلْنَـٰكَ بِٱلْحَقِّ
بَشِيرًۭا وَنَذِيرًۭا ۚ وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خَلَا فِيهَا نَذِيرٌ﴾
২৪। আমি
তোমাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছি সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী বানিয়ে। আর এমন
কোন সম্প্রদায় অতিক্রান্ত হয়নি যার মধ্যে কোন সতর্ককারী আসেনি।৪৫
﴿وَإِن يُكَذِّبُوكَ فَقَدْ
كَذَّبَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ جَآءَتْهُمْ رُسُلُهُم بِٱلْبَيِّنَـٰتِ وَبِٱلزُّبُرِ
وَبِٱلْكِتَـٰبِ ٱلْمُنِيرِ﴾
২৫। এখন এরা
যদি তোমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে থাকে তাহলে এদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকেরাও
মিথ্যা আরোপ করেছিল। তাদের কাছে এসেছিল তাদের রাসূলগণ
সুস্পষ্ট প্রমাণাদি৪৬ সহীফা ও দীপ্তোজ্জল হিদায়াত
দানকারী কিতাব৪৭ নিয়ে।
﴿ثُمَّ أَخَذْتُ ٱلَّذِينَ
كَفَرُوا۟ ۖ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ﴾
২৬। তারপর যারা
মানেনি তাদেরকে আমি পাকড়াও করেছি এবং দেখে নাও আমার শাস্তি ছিল কেমন কঠোর।
﴿أَلَمْ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ
أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءًۭ فَأَخْرَجْنَا بِهِۦ ثَمَرَٰتٍۢ مُّخْتَلِفًا أَلْوَٰنُهَا
ۚ وَمِنَ ٱلْجِبَالِ جُدَدٌۢ بِيضٌۭ وَحُمْرٌۭ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَٰنُهَا وَغَرَابِيبُ
سُودٌ﴾
২৭। তুমি কি
দেখো না আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন এবং তারপর তার মাধ্যমে আমি নানা ধরনের
বিচিত্র বর্ণের ফল বের করে আনি? পাহাড়ের মধ্যেও রয়েছে
বিচিত্র বর্ণের সাদা, লাল ও নিকষকালো রেখা।
﴿وَمِنَ ٱلنَّاسِ وَٱلدَّوَآبِّ
وَٱلْأَنْعَـٰمِ مُخْتَلِفٌ أَلْوَٰنُهُۥ كَذَٰلِكَ ۗ إِنَّمَا يَخْشَى ٱللَّهَ مِنْ
عِبَادِهِ ٱلْعُلَمَـٰٓؤُا۟ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ غَفُورٌ﴾
২৮। আর এভাবে
মানুষ, জীব-জনোয়ার ও গৃহপালিত জন্তুও বিভিন্ন
বর্ণের রয়েছে।৪৮ আসল
ব্যাপার হচ্ছে, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একমাত্র জ্ঞান
সম্পন্নরাই তাঁকে ভয় করে।৪৯ নিঃসন্দেহে
আল্লাহ পরাক্রমশালী এবং ক্ষমাশীল।৫০
﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ يَتْلُونَ
كِتَـٰبَ ٱللَّهِ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنفَقُوا۟ مِمَّا رَزَقْنَـٰهُمْ سِرًّۭا
وَعَلَانِيَةًۭ يَرْجُونَ تِجَـٰرَةًۭ لَّن تَبُورَ﴾
২৯। যারা
আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যা
রিযিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে খরচ করে, নিঃসন্দেহে
তারা এমন একটি ব্যবসায়ের প্রত্যাশী যাতে কোনক্রমেই ক্ষতি হবে না।
﴿لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ
وَيَزِيدَهُم مِّن فَضْلِهِۦٓ ۚ إِنَّهُۥ غَفُورٌۭ شَكُورٌ﴾
৩০। (এ
ব্যবসায়ে তাদের নিজেদের সবকিছু নিয়োগ করার কারণ হচ্ছে এই যে) যাতে তাদের প্রতিদান
পুরোপুরি আল্লাহ তাদেরকে দিয়ে দেন এবং নিজের অনুগ্রহ থেকে আরো বেশী করে তাদেরকে
দান করবেন।৫১ নিঃসন্দেহে আল্লাহ
ক্ষমাশীল ও গুণগ্রাহী।৫২
﴿وَٱلَّذِىٓ أَوْحَيْنَآ
إِلَيْكَ مِنَ ٱلْكِتَـٰبِ هُوَ ٱلْحَقُّ مُصَدِّقًۭا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ ۗ إِنَّ
ٱللَّهَ بِعِبَادِهِۦ لَخَبِيرٌۢ بَصِيرٌۭ﴾
৩১। (হে নবী!)
আমি তোমার কাছে অহীর মাধ্যমে যে কিতাব পাঠিয়েছি সেটিই সত্য, সত্যায়িত করে
এসেছ তার পূর্বে আগত কিতাবগুলোকে।৫৩ অবশ্যই
আল্লাহ নিজের বান্দাদের অবস্থা অবগত আছেন এবং সব জিনিসের প্রতি দৃষ্টি রাখেন।৫৪
﴿ثُمَّ أَوْرَثْنَا ٱلْكِتَـٰبَ
ٱلَّذِينَ ٱصْطَفَيْنَا مِنْ عِبَادِنَا ۖ فَمِنْهُمْ ظَالِمٌۭ لِّنَفْسِهِۦ وَمِنْهُم
مُّقْتَصِدٌۭ وَمِنْهُمْ سَابِقٌۢ بِٱلْخَيْرَٰتِ بِإِذْنِ ٱللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ
ٱلْفَضْلُ ٱلْكَبِيرُ﴾
৩২। তারপর আমি
এমন লোকদেরকে এ কিতাবের উত্তরাধিকারী করেছি যাদেরকে আমি (এ উত্তরাধিকারের জন্য)
নিজের বান্দাদের মধ্য থেকে বাছাই করে নিয়েছি।৫৫ এখন
তাদের মধ্য থেকে কেউ নিজের প্রতি জুলুমকারী, কেউ মধ্যপন্থী
এবং কেউ আল্লাহর হুকুমে সৎকাজে অগ্রবর্তী, এটিই অনেক বড়
অনুগ্রহ।৫৬
﴿جَنَّـٰتُ عَدْنٍۢ يَدْخُلُونَهَا
يُحَلَّوْنَ فِيهَا مِنْ أَسَاوِرَ مِن ذَهَبٍۢ وَلُؤْلُؤًۭا ۖ وَلِبَاسُهُمْ فِيهَا
حَرِيرٌۭ﴾
৩৩। চিরস্থায়ী
জান্নাতে তারা প্রবেশ করবে।৫৭ সেখানে
তাদেরকে সোনার কংকন ও মুক্তা দিয়ে সাজানো হবে। সেখানে
তাদের পোশাক হবে রেশমের
﴿وَقَالُوا۟ ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ
ٱلَّذِىٓ أَذْهَبَ عَنَّا ٱلْحَزَنَ ۖ إِنَّ رَبَّنَا لَغَفُورٌۭ شَكُورٌ﴾
৩৪। এবং তারা
বলবেঃ আল্লাহর শোকর, যিনি আমাদের দঃখ মোচন করেছেন।৫৮ অবশ্যই
আমাদের রব ক্ষমাশীল ও গুণের সমাদরকারী,৫৯
﴿ٱلَّذِىٓ أَحَلَّنَا دَارَ
ٱلْمُقَامَةِ مِن فَضْلِهِۦ لَا يَمَسُّنَا فِيهَا نَصَبٌۭ وَلَا يَمَسُّنَا فِيهَا
لُغُوبٌۭ﴾
৩৫। যিনি নিজ
অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাসস্থল দিয়েছেন।৬০ এখন
এখানে আমাদের না কোন কষ্ট হয় এবং না আসে কোন ক্লান্তি।৬১
﴿وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَهُمْ
نَارُ جَهَنَّمَ لَا يُقْضَىٰ عَلَيْهِمْ فَيَمُوتُوا۟ وَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُم مِّنْ
عَذَابِهَا ۚ كَذَٰلِكَ نَجْزِى كُلَّ كَفُورٍۢ﴾
৩৬। আর যারা
কুফরী করেছে৬২ তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। না তাদের
অস্তিত্ব খতম করে দেয়া হবে যাতে তারা মরে যাবে এবং না তাদের জন্য জাহান্নামের আযাব
কিছু কমানো হবে। এভাবে আমি প্রত্যেক কুফরীকারীকে প্রতিফল
দিয়ে থাকি।
﴿وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا
رَبَّنَآ أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَـٰلِحًا غَيْرَ ٱلَّذِى كُنَّا نَعْمَلُ ۚ أَوَلَمْ
نُعَمِّرْكُم مَّا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَن تَذَكَّرَ وَجَآءَكُمُ ٱلنَّذِيرُ ۖ فَذُوقُوا۟
فَمَا لِلظَّـٰلِمِينَ مِن نَّصِيرٍ﴾
৩৭। তারা
সেখানে চিৎকার করে করে বলবে “হে আমাদের রব! আমাদের এখান থেকে বের করে নাও, আমরা সৎকাজ
করবো, আগে যে কাজ করতাম তা থেকে আলাদা।” (তাদেরকে
জবাব দেয়া হবে এই বলে,) “আমি কি তোমাদের এতটুকু আয়ুষ্কাল
দান করিনি যে সময়ে কেউ শিক্ষাগ্রহণ করতে চাইলে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারতো?৬৩ আর
তোমাদের কাছে সতর্ককারীও এসে গিয়েছিল। এখন স্বাদ
আস্বাদন
﴿إِنَّ ٱللَّهَ عَـٰلِمُ غَيْبِ
ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۚ إِنَّهُۥ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ﴾
৩৮। নিঃসন্দেহে
আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবীর সমস্ত গোপন বিষয় অবগত, তিনি তো
অন্তরের গোপন রহস্যও জানেন।
﴿هُوَ ٱلَّذِى جَعَلَكُمْ
خَلَـٰٓئِفَ فِى ٱلْأَرْضِ ۚ فَمَن كَفَرَ فَعَلَيْهِ كُفْرُهُۥ ۖ وَلَا يَزِيدُ ٱلْكَـٰفِرِينَ
كُفْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ إِلَّا مَقْتًۭا ۖ وَلَا يَزِيدُ ٱلْكَـٰفِرِينَ كُفْرُهُمْ
إِلَّا خَسَارًۭا﴾
৩৯। তিনিই
তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন।৬৪ এখন যে
কেউ কুফরী করবে তার কুফরীর দায়ভার তার ওপরই পড়বে৬৫ এবং কাফেরদের কুফরী তাদেরকে
এছাড়া আর কোন উন্নতি দান করে না যে, তাদের রবের ক্রোধ তাদের
ওপর বেশী বেশী করে উৎক্ষিপ্ত হতে থাকে এবং কাফেরদের জন্য ক্ষতিবৃদ্ধি ছাড়া আর কোন
উন্নতি নেই।
﴿قُلْ أَرَءَيْتُمْ شُرَكَآءَكُمُ
ٱلَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَرُونِى مَاذَا خَلَقُوا۟ مِنَ ٱلْأَرْضِ أَمْ
لَهُمْ شِرْكٌۭ فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ أَمْ ءَاتَيْنَـٰهُمْ كِتَـٰبًۭا فَهُمْ عَلَىٰ
بَيِّنَتٍۢ مِّنْهُ ۚ بَلْ إِن يَعِدُ ٱلظَّـٰلِمُونَ بَعْضُهُم بَعْضًا إِلَّا غُرُورًا﴾
৪০। (হে নবী!)
তাদেরকে বলো, “তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমাদের যেসব
শরীককে ডাকো কখনো কি তোমরা তাদেরকে দেখেছো?৬৬ আমাকে
বলো, তারা পৃথিবীতে কি সৃষ্টি করেছে? অথবা
আকাশসমূহে তাদের কি শরীকানা আছে?” (যদি একথা বলতে না পারো
তাহলে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো) তাদেরকে কি আমি কোন কিতাব লিখে দিয়েছি যার ভিত্তিতে
তারা (নিজেদের এ শিরকের জন্য) কোন সুস্পষ্ট প্রমাণপত্র লাভ করেছে?৬৭ না,
বরং এ জালেমরা পরস্পরকে নিছক ধাপ্পা দিয়েই চলছে।৬৮
﴿إِنَّ ٱللَّهَ يُمْسِكُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ
وَٱلْأَرْضَ أَن تَزُولَا ۚ وَلَئِن زَالَتَآ إِنْ أَمْسَكَهُمَا مِنْ أَحَدٍۢ مِّنۢ
بَعْدِهِۦٓ ۚ إِنَّهُۥ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًۭا﴾
৪১। আসলে
আল্লাহই আকাশ ও পৃথিবীকে অটল ও অনড় রেখেছেন এবং যদি তারা টলটলায়মান হয় তাহলে
আল্লাহর পরে দ্বিতীয় আর কেউ তাদেরকে স্থির রাখার ক্ষমতা রাখে না।৬৯ নিঃসন্দেহে
আল্লাহ বড়ই সহিষ্ণু ও ক্ষমাশীল।৭০
﴿وَأَقْسَمُوا۟ بِٱللَّهِ
جَهْدَ أَيْمَـٰنِهِمْ لَئِن جَآءَهُمْ نَذِيرٌۭ لَّيَكُونُنَّ أَهْدَىٰ مِنْ إِحْدَى
ٱلْأُمَمِ ۖ فَلَمَّا جَآءَهُمْ نَذِيرٌۭ مَّا زَادَهُمْ إِلَّا نُفُورًا﴾
৪২। তারা শক্ত
কসম খেয়ে বলতো, যদি কোন সতর্ককারী তাদের কাছে আসতো তাহলে তারা
দুনিয়ার প্রত্যেক জাতির তুলনায় বেশী সৎপথের অনুগামী হতো।৭১ কিন্তু
যখন সতর্ককারী তাদের কাছে এলো তখন তার আগমন তাদের মধ্যে সত্য থেকে পলায়ন ছাড়া আর
কোন জিনিষের বৃদ্ধি ঘটায়নি।
﴿ٱسْتِكْبَارًۭا فِى ٱلْأَرْضِ
وَمَكْرَ ٱلسَّيِّئِ ۚ وَلَا يَحِيقُ ٱلْمَكْرُ ٱلسَّيِّئُ إِلَّا بِأَهْلِهِۦ ۚ فَهَلْ
يَنظُرُونَ إِلَّا سُنَّتَ ٱلْأَوَّلِينَ ۚ فَلَن تَجِدَ لِسُنَّتِ ٱللَّهِ تَبْدِيلًۭا
ۖ وَلَن تَجِدَ لِسُنَّتِ ٱللَّهِ تَحْوِيلًا﴾
৪৩। তারা
পৃথিবীতে আরো বেশী অহংকার করতে থাকে এবং দুষ্ট চাল চালতে থাকে, অথচ দুষ্ট
চাল তার উদ্যোক্তাদেরকেই ঘিরে ফেলে। এখন তারা
কি পূর্বের জাতিদের সাথে আল্লাহ যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন তাদের সাথে অনুরূপ
পদ্ধতিরই অপেক্ষা করছে?৭২ যদি
একথাই হয়ে থাকে তাহলে তুমি আল্লাহর পদ্ধতিতে কখখনো কোন পরিবর্তন পাবে না এবং কখখনো
আল্লাহর বিধানকে তার নির্ধারিত পথ থেকে হটে যেতেও তুমি দেখবে না।
﴿أَوَلَمْ يَسِيرُوا۟ فِى
ٱلْأَرْضِ فَيَنظُرُوا۟ كَيْفَ كَانَ عَـٰقِبَةُ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَكَانُوٓا۟
أَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّةًۭ ۚ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُعْجِزَهُۥ مِن شَىْءٍۢ فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ
وَلَا فِى ٱلْأَرْضِ ۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَلِيمًۭا قَدِيرًۭا﴾
৪৪। তারা কি
পৃথিবীতে কখনো চলাফেরা করেনি, যার ফলে তারা তাদের
পূর্বে যারা চলে গেছে এবং যারা তাদের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ছিল তাদের পরিণাম
দেখতে পেতো? আকাশমণ্ডলীতে ও পৃথিবীতে আল্লাহকে অক্ষম করে
দেবার মতো কোন জিনিস নেই। তিনি
সবকিছু জানেন এবং সব জিনিসের ওপর ক্ষমতাশালী।
﴿وَلَوْ يُؤَاخِذُ ٱللَّهُ
ٱلنَّاسَ بِمَا كَسَبُوا۟ مَا تَرَكَ عَلَىٰ ظَهْرِهَا مِن دَآبَّةٍۢ وَلَـٰكِن يُؤَخِّرُهُمْ
إِلَىٰٓ أَجَلٍۢ مُّسَمًّۭى ۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِعِبَادِهِۦ
بَصِيرًۢا﴾
৪৫। যদি কখনো
তিনি লোকদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করতেন তাহলে পৃথিবীতে কোন প্রাণসত্তাকে
জীবিত ছাড়তেন না কিন্তু একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তিনি তাদেরকে অবকাশ দিচ্ছেন। তারপর যখন
তাদের সময় পুরা হয়ে যাবে তখন আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে দেখে নেবেন।
--- সমাপ্ত ---
কোন মন্তব্য নেই
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।