০৪১. সূরা হা-মীম আস সাজদাহ
আয়াতঃ ৫৪; রুকুঃ ০৬; মাক্কী
﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ﴾
পরম করুণাময় মেহেরবানী আল্লাহর নামে
﴿حمٓ﴿١﴾
১। হা-মীম।
﴿تَنزِيلٌۭ مِّنَ
ٱلرَّحْمَـٰنِ ٱلرَّحِيم﴾
২। এটা পরম দয়ালু ও মেহেরবান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত জিনিস।
﴿كتَـٰبٌۭ فُصِّلَتْ
ءَايَـٰتُهُۥ قُرْءَانًا عَرَبِيًّۭا لِّقَوْمٍۢ يَعْلَمُونَ﴾
৩। এটি এমন এক গ্রন্থ যার
আয়াত সমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। আরবী
ভাষার কুরআন। সেই সব লোকদের জন্য যারা জ্ঞানের অধিকারী,
﴿بَشِيرًۭا وَنَذِيرًۭا
فَأَعْرَضَ أَكْثَرُهُمْ فَهُمْ لَا يَسْمَعُونَ﴾
৪। সুসংবাদ দানকারী ও
সতর্ককারী।১ কিন্তু তাদের অধিকাংশ
লোকই তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তারা শুনতেই পায় না।
﴿وَجَعَلَ فِيهَا
رَوَٰسِىَ مِن فَوْقِهَا وَبَـٰرَكَ فِيهَا وَقَدَّرَ فِيهَآ أَقْوَٰتَهَا فِىٓ
أَرْبَعَةِ أَيَّامٍۢ سَوَآءًۭ لِّلسَّآئِلِينَ﴾
৫। তারা বলেঃ তুমি আমাদের যে জিনিসের দিকে আহবান জানাচ্ছো সে জিনিসের ব্যাপারে আমাদের মনের ওপর পর্দা পড়ে আছে,২ আমাদের কান বধির হয়ে আছে এবং তোমার ও আমাদের মাঝে একটি পর্দা আড়াল করে আছে।৩ তুমি তোমার কাজ করতে থাকো আমরাও আমাদের কাজ করে যাবো।৪
﴿قُلْ إِنَّمَآ أَنَا۠
بَشَرٌۭ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰٓ إِلَىَّ أَنَّمَآ إِلَـٰهُكُمْ إِلَـٰهٌۭ وَٰحِدٌۭ
فَٱسْتَقِيمُوٓا۟ إِلَيْهِ وَٱسْتَغْفِرُوهُ ۗ وَوَيْلٌۭ لِّلْمُشْرِكِينَ﴾
৬। হে নবী, এদের বলে দাও,
আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ।৫ আমাকে
অহীর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয় যে, একজনই মাত্র তোমাদের ইলাহ৬ কাজেই
সোজা তাঁর প্রতি নিবিষ্ট হও৭ এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো।৮ মুশরিকদের
জন্য ধ্বংস,
﴿ٱلَّذِينَ لَا يُؤْتُونَ
ٱلزَّكَوٰةَ وَهُم بِٱلْـَٔاخِرَةِ هُمْ كَـٰفِرُونَ﴾
৭। যারা যাকাত
দেয় না।৯ এবং আখেরাত
অস্বীকার করে।
﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ
ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ لَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍۢ﴾
৮। যারা ঈমান
এনেছে এবং নেক কাজ করেছে, নিশ্চিতভাবে তাদের জন্য এমন পুরস্কার
রয়েছে যার ধারাবাহিকতা কখনো ছিন্ন হবে না।১০
﴿قُلْ أَئِنَّكُمْ
لَتَكْفُرُونَ بِٱلَّذِى خَلَقَ ٱلْأَرْضَ فِى يَوْمَيْنِ وَتَجْعَلُونَ لَهُۥٓ
أَندَادًۭا ۚ ذَٰلِكَ رَبُّ ٱلْعَـٰلَمِينَ﴾
৯। হে নবী, এদের বলো,
তোমরা কী সেই আল্লাহর সাথে কুফরী করছো এবং অন্যদেরকে তাঁর সাথে
শরীক করছো যিনি দু’দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন? তিনিই
বিশ্ব-জাহানের সবার রব।
﴿وَجَعَلَ فِيهَا
رَوَٰسِىَ مِن فَوْقِهَا وَبَـٰرَكَ فِيهَا وَقَدَّرَ فِيهَآ أَقْوَٰتَهَا فِىٓ
أَرْبَعَةِ أَيَّامٍۢ سَوَآءًۭ لِّلسَّآئِلِينَ﴾
১০। তিনি
(পৃথিবীকে অস্তিত্ব দানের পর) ওপর থেকে তার ওপর পাহাড় স্থাপন করেছেন এবং তাতে বরকত
দান করেছেন।১১ আর তার মধ্যে সব
প্রার্থীর জন্য প্রত্যেকের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুসারে সঠিক
﴿ثُمَّ ٱسْتَوَىٰٓ إِلَى
ٱلسَّمَآءِ وَهِىَ دُخَانٌۭ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ ٱئْتِيَا طَوْعًا أَوْ
كَرْهًۭا قَالَتَآ أَتَيْنَا طَآئِعِينَ﴾
১১। তারপর তিনি
আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেছেন যা সেই সময় কেবল ধোঁয়া ছিল।১৪ তিনি
আসমান ও যমীনকে বললেনঃ ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক তোমরা অস্তিত্ব ধারন করো। উভয়ে
﴿فَقَضَىٰهُنَّ سَبْعَ
سَمَـٰوَاتٍۢ فِى يَوْمَيْنِ وَأَوْحَىٰ فِى كُلِّ سَمَآءٍ أَمْرَهَا ۚ
وَزَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِمَصَـٰبِيحَ وَحِفْظًۭا ۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ
ٱلْعَزِيزِ ٱلْعَلِيمِ﴾
১২। তারপর তিনি
দু’দিনের মধ্যে সাত আসমান বানালেন এবং প্রত্যেক আসমানে তিনি তাঁর বিধান অহী করলেন। আর
পৃথিবীর আসমানকে আমি উজ্জ্বল প্রদীপ দিয়ে সজ্জিত করলাম এবং ভালভাবে সুরক্ষিত করে
দিলাম।১৬ এসবই এক মহা
পরাক্রমশালী জ্ঞানী সত্তার পরিকল্পনা।
﴿فَإِنْ أَعْرَضُوا۟
فَقُلْ أَنذَرْتُكُمْ صَـٰعِقَةًۭ مِّثْلَ صَـٰعِقَةِ عَادٍۢ وَثَمُودَ﴾
১৩। এখন যদি
এরা মুখ ফিরিয়ে নেয়১৭ তাহলে এদের বলে দাও
আদ ও সামূদের ওপর যে ধরনের আযাব নাযিল হয়েছিলো আমি তোমাদেরকে অকস্মাৎ সেই রূপ আযাব
আসার ব্যাপারে সাবধান করছি।
﴿إِذْ جَآءَتْهُمُ
ٱلرُّسُلُ مِنۢ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ أَلَّا تَعْبُدُوٓا۟ إِلَّا
ٱللَّهَ ۖ قَالُوا۟ لَوْ شَآءَ رَبُّنَا لَأَنزَلَ مَلَـٰٓئِكَةًۭ فَإِنَّا
بِمَآ أُرْسِلْتُم بِهِۦ كَـٰفِرُونَ﴾
১৪। সামনে ও
পেছনে সব দিক থেকে যখন তাদের কাছে আল্লাহর রাসূল এলো১৮ এবং
তাদেরকে বুঝালো আল্লাহ ছাড়া আর কারো দাসত্ব করো না তখন তারা বললোঃ আমাদের রব
ইচ্ছা করলে ফেরেশতা পাঠাতে পারতেন। সুতরাং
তোমাদেরকে যে জন্য পাঠানো হয়েছে আমরা তা মানি না।১৯
﴿فَأَمَّا عَادٌۭ
فَٱسْتَكْبَرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ بِغَيْرِ ٱلْحَقِّ وَقَالُوا۟ مَنْ أَشَدُّ مِنَّا
قُوَّةً ۖ أَوَلَمْ يَرَوْا۟ أَنَّ ٱللَّهَ ٱلَّذِى خَلَقَهُمْ هُوَ أَشَدُّ
مِنْهُمْ قُوَّةًۭ ۖ وَكَانُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا يَجْحَدُونَ﴾
১৫। তাদের
অবস্থা ছিল এই যে, পৃথিবীতে তারা অন্যায়ভাবে নিজেদেরকে বড় মনে
করে বসেছিলো এবং বলতে শুরু করেছিলঃ আমাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী আর কে আছে? তারা একথা বুঝলো না যে, যে আল্লাহ তাদেরকে সৃষ্টি
করেছেন, তিনি তাদের অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী। তারা আমার
আয়াত সমূহকে অস্বীকারই করে চললো।
﴿فَأَرْسَلْنَا
عَلَيْهِمْ رِيحًۭا صَرْصَرًۭا فِىٓ أَيَّامٍۢ نَّحِسَاتٍۢ لِّنُذِيقَهُمْ عَذَابَ
ٱلْخِزْىِ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا ۖ وَلَعَذَابُ ٱلْـَٔاخِرَةِ أَخْزَىٰ ۖ
وَهُمْ لَا يُنصَرُونَ﴾
১৬। অবশেষে আমি
কতিপয় অমঙ্গলকর দিনে তাদের ওপর প্রবল ঝড়ো বাতাস পাঠালাম২০ যেন
পার্থিব জীবনেই তাদেরকে অপমান ও লাঞ্ছনাকর আযাবের মজা চাখাতে পারি।২১ আখেরাতের
আযাব তো এর চেয়েও অধিক অপমানকর। সেখানে
কেউ তাদের সাহায্যকারী থাকবে না।
﴿وَأَمَّا ثَمُودُ
فَهَدَيْنَـٰهُمْ فَٱسْتَحَبُّوا۟ ٱلْعَمَىٰ عَلَى ٱلْهُدَىٰ فَأَخَذَتْهُمْ
صَـٰعِقَةُ ٱلْعَذَابِ ٱلْهُونِ بِمَا كَانُوا۟ يَكْسِبُونَ﴾
১৭। আর আমি
সামূদের সামনে সত্য পথ পেশ করেছিলাম কিন্তু তারা পথ দেখার চেয়ে অন্ধ হয়ে থাকা
পছন্দ করলো। অবশেষে তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের ওপর
লাঞ্ছনাকর আযাব ঝাঁপিয়ে পড়লো।
﴿وَنَجَّيْنَا ٱلَّذِينَ
ءَامَنُوا۟ وَكَانُوا۟ يَتَّقُونَ﴾
১৮। যারা ঈমান
এনেছিল এবং গোমরাহী ও দুষ্কৃতি থেকে দূরে অবস্থান করতো২২ আমি
তাদেরকে রক্ষা করলাম।
﴿وَيَوْمَ يُحْشَرُ
أَعْدَآءُ ٱللَّهِ إِلَى ٱلنَّارِ فَهُمْ يُوزَعُونَ﴾
১৯। আর সেই
সময়ের কথাও একটু চিন্তা করো যখন আল্লাহর এসব দুশমনকে দোযখের দিকে যাওয়ার জন্য
পরিবেষ্টিত করা হবে।২৩ তাদের
অগ্রবর্তীদেরকে পশ্চাদবর্তীদের আগমন করা পর্যন্ত থামিয়ে রাখা হবে।২৪
﴿حَتَّىٰٓ إِذَا مَا
جَآءُوهَا شَهِدَ عَلَيْهِمْ سَمْعُهُمْ وَأَبْصَـٰرُهُمْ وَجُلُودُهُم بِمَا
كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ﴾
২০। পরে যখন
সবাই সেখানে পৌঁছে যাবে তখন তাদের কান, তাদের চোখ এবং তাদের
দেহের চামড়া তারা পৃথিবীতে কি করতো সে সম্পর্কে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।২৫
﴿وَقَالُوا۟
لِجُلُودِهِمْ لِمَ شَهِدتُّمْ عَلَيْنَا ۖ قَالُوٓا۟ أَنطَقَنَا ٱللَّهُ ٱلَّذِىٓ
أَنطَقَ كُلَّ شَىْءٍۢ وَهُوَ خَلَقَكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍۢ وَإِلَيْهِ
تُرْجَعُونَ﴾
২১। তারা তাদের
শরীরের চামড়াসমূহকে বলবে, তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে
কেন? তারা জবাব দেবে, সেই আল্লাহই
আমাদের বাকশক্তি দান করেছেন যিনি প্রতিটি বস্তুকে বাকশক্তি দান করেছেন।২৬ তিনিই
তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলেন। আর এখন
তোমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
﴿وَمَا كُنتُمْ
تَسْتَتِرُونَ أَن يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلَآ أَبْصَـٰرُكُمْ وَلَا
جُلُودُكُمْ وَلَـٰكِن ظَنَنتُمْ أَنَّ ٱللَّهَ لَا يَعْلَمُ كَثِيرًۭا مِّمَّا
تَعْمَلُونَ﴾
২২। পৃথিবীতে
অপরাধ করার সময় তোমরা গোপন করতে তখন তোমরা চিন্তাও করোনি যে, তোমাদের
নিজেদের কান, তোমাদের চোখ এবং তোমাদের দেহের চামড়া কোন সময়
তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। তোমরা তো
বরং মনে করেছিলে, তোমাদের বহু সংখ্যক কাজ-কর্মের খবর আল্লাহও
রাখেন না।
﴿وَذَٰلِكُمْ ظَنُّكُمُ
ٱلَّذِى ظَنَنتُم بِرَبِّكُمْ أَرْدَىٰكُمْ فَأَصْبَحْتُم مِّنَ ٱلْخَـٰسِرِينَ﴾
২৩। তোমাদের এই
ধারণা--- যা তোমরা তোমাদের রব সম্পর্কে করেছিলে--- তোমাদের সর্বনাশ করেছে এবং এর
বদৌলতেই তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছো।২৭
﴿فَإِن يَصْبِرُوا۟
فَٱلنَّارُ مَثْوًۭى لَّهُمْ ۖ وَإِن يَسْتَعْتِبُوا۟ فَمَا هُم مِّنَ
ٱلْمُعْتَبِينَ﴾
২৪। এ অবস্থায়
তারা ধৈর্য ধারণ করুক (বা না করুক) আগুনই হবে তাদের ঠিকানা। তারা যদি
প্রত্যাবর্তনের সুযোগ চায় তাহলে কোন সুযোগ দেয়া হবে না।২৮
﴿وَقَيَّضْنَا لَهُمْ
قُرَنَآءَ فَزَيَّنُوا۟ لَهُم مَّا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَحَقَّ
عَلَيْهِمُ ٱلْقَوْلُ فِىٓ أُمَمٍۢ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِم مِّنَ ٱلْجِنِّ
وَٱلْإِنسِ ۖ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ خَـٰسِرِينَ﴾
২৫। আমি তাদের
ওপর এমন সব সঙ্গী চাপিয়ে দিয়েছিলাম যারা তাদেরকে সামনের ও পেছনের প্রতিটি জিনিস
সুদৃশ্য করে দেখাতো।২৯ অবশেষে
তাদের ওপরও আযাবের সেই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হলো যা তাদের পূর্ববতী জিন ও মানব
দলসমূহের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছিলো।
নিশ্চিতভাবেই তারা ক্ষতিগ্রস্ত ছিলো।
﴿وَقَالَ ٱلَّذِينَ
كَفَرُوا۟ لَا تَسْمَعُوا۟ لِهَـٰذَا ٱلْقُرْءَانِ وَٱلْغَوْا۟ فِيهِ لَعَلَّكُمْ
تَغْلِبُونَ﴾
২৬। এসব
কাফেররা বলে, এ কুরআন তোমরা কখনো শুনবে না। আর যখন তা
শুনানো হবে তখন হট্টগোল বাধিয়ে দেবে। হয়তো
এভাবে তোমরা বিজয়ী হবে।৩০
﴿فَلَنُذِيقَنَّ
ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ عَذَابًۭا شَدِيدًۭا وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَسْوَأَ ٱلَّذِى
كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ﴾
২৭। আমি এসব
কাফেরদের কঠিন শাস্তির মজা চাখাবো এবং যে জঘন্যতম তৎপরতা তারা চালিয়ে যাচ্ছে তার
পুরো বদলা তাদের দেবো।
﴿ذَٰلِكَ جَزَآءُ
أَعْدَآءِ ٱللَّهِ ٱلنَّارُ ۖ لَهُمْ فِيهَا دَارُ ٱلْخُلْدِ ۖ جَزَآءًۢ بِمَا
كَانُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا يَجْحَدُونَ﴾
২৮। প্রতিদানে
আল্লাহর দুশমনরা যা লাভ করবে তা হচ্ছে দোযখ। সেখানেই
হবে তাদের চিরদিনের বাসস্থান। তারা আমার আয়াত সমূহ
অস্বীকার করতো। এটা তাদের সেই অপরাধের শাস্তি।
﴿وَقَالَ ٱلَّذِينَ
كَفَرُوا۟ رَبَّنَآ أَرِنَا ٱلَّذَيْنِ أَضَلَّانَا مِنَ ٱلْجِنِّ وَٱلْإِنسِ
نَجْعَلْهُمَا تَحْتَ أَقْدَامِنَا لِيَكُونَا مِنَ ٱلْأَسْفَلِينَ﴾
২৯। সেখানে এসব
কাফের বলবে, ‘হে আমাদের রব, সেই
সব জিন ও মানুষ আমাদের দেখিয়ে দাও যারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিলো। আমরা
তাদের পদদলিত করবো, যাতে তারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়’।৩১
﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ
قَالُوا۟ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسْتَقَـٰمُوا۟ تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ
ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا۟ وَلَا تَحْزَنُوا۟ وَأَبْشِرُوا۟ بِٱلْجَنَّةِ
ٱلَّتِى كُنتُمْ تُوعَدُونَ﴾
৩০। যারা৩২ ঘোষণা
করেছে, আল্লাহ আমাদের রব, অতঃপর তার
ওপরে দৃঢ় ও স্থির থেকেছে৩৩ নিশ্চিত
তাদের কাছে ফেরেশতারা আসে৩৪ এবং
তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না৩৫ এবং সেই
জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
﴿نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ
فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَفِى ٱلْـَٔاخِرَةِ ۖ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِىٓ
أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ﴾
৩১। আমরা এই
দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখেরাতেও। সেখানে
তোমরা যা চাবে তাই পাবে। আর যে জিনিসেরই আকাঙ্খা করবে
তাই লাভ করবে।
﴿نُزُلًۭا مِّنْ غَفُورٍۢ
رَّحِيمٍۢ﴾
৩২। এটা সেই
মহান সত্তার পক্ষ থেকে মেহমানদারীর আয়োজন যিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
﴿وَمَنْ أَحْسَنُ
قَوْلًۭا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَـٰلِحًۭا وَقَالَ إِنَّنِى مِنَ
ٱلْمُسْلِمِينَ﴾
৩৩। সেই
ব্যক্তির কথার চেয়ে আর কার কথা উত্তম হবে যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, সৎ কাজ করলো
এবং ঘোষণা করলো আমি মুসলমান।৩৬
﴿وَلَا تَسْتَوِى
ٱلْحَسَنَةُ وَلَا ٱلسَّيِّئَةُ ۚ ٱدْفَعْ بِٱلَّتِى هِىَ أَحْسَنُ فَإِذَا
ٱلَّذِى بَيْنَكَ وَبَيْنَهُۥ عَدَٰوَةٌۭ كَأَنَّهُۥ وَلِىٌّ حَمِيمٌۭ﴾
৩৪। হে নবী, সৎ কাজ ও অসৎ
কাজ সমান নয়। তুমি অসৎ কাজকে সেই নেকী
দ্বারা নিবৃত্ত করো যা সবচেয়ে ভাল। তাহলে
দেখবে যার সাথে তোমার শত্রুতা ছিল সে অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে গিয়েছে।৩৭
﴿وَمَا يُلَقَّىٰهَآ
إِلَّا ٱلَّذِينَ صَبَرُوا۟ وَمَا يُلَقَّىٰهَآ إِلَّا ذُو حَظٍّ عَظِيمٍۢ﴾
৩৫। ধৈর্য্যশীল
ছাড়া এ গুণ আর কারো ভাগ্যে জোটে না।৩৮ এবং অতি
ভাগ্যবান ছাড়া এ মর্যাদা আর কেউ লাভ করতে পারে না।৩৯
﴿وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ
مِنَ ٱلشَّيْطَـٰنِ نَزْغٌۭ فَٱسْتَعِذْ بِٱللَّهِ ۖ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ
ٱلْعَلِيمُ﴾
৩৬। যদি তোমরা
শয়তানের পক্ষ থেকে কোন প্ররোচনা আঁচ করতে পারো তাহলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো৪০ তিনি সব
কিছু শোনেন এবং জানেন।৪১
﴿وَمِنْ ءَايَـٰتِهِ
ٱلَّيْلُ وَٱلنَّهَارُ وَٱلشَّمْسُ وَٱلْقَمَرُ ۚ لَا تَسْجُدُوا۟ لِلشَّمْسِ
وَلَا لِلْقَمَرِ وَٱسْجُدُوا۟ لِلَّهِ ٱلَّذِى خَلَقَهُنَّ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ
تَعْبُدُونَ﴾
৩৭। এই৪২ রাত ও
দিন এবং চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।৪৩ সূর্য ও
চাঁদকে সিজদা করো না, সেই আল্লাহকে সিজদা করো যিনি তাদের
সৃষ্টি করেছেন, যদি সত্যিই তোমরা তাঁর ইবাদাতকারী হও।৪৪
﴿فَإِنِ ٱسْتَكْبَرُوا۟
فَٱلَّذِينَ عِندَ رَبِّكَ يُسَبِّحُونَ لَهُۥ بِٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ وَهُمْ لَا
يَسْـَٔمُونَ ﴾
৩৮। কিন্তু যদি
অহংকার করে এসব লোকেরা নিজেদের কথায় গোঁ ধরে থাকে।৪৫ তবে
পরোয়া নেই। যেসব ফেরেশতা তোমার রবের সান্নিধ্য লাভ
করেছে তারা রাত দিন তাঁর তাসবীহ বর্ণনা করছে এবং কখনো ক্লান্ত হয় না।৪৬
﴿وَمِنْ ءَايَـٰتِهِۦٓ
أَنَّكَ تَرَى ٱلْأَرْضَ خَـٰشِعَةًۭ فَإِذَآ أَنزَلْنَا عَلَيْهَا ٱلْمَآءَ
ٱهْتَزَّتْ وَرَبَتْ ۚ إِنَّ ٱلَّذِىٓ أَحْيَاهَا لَمُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰٓ ۚ
إِنَّهُۥ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌ﴾
৩৯। আর এটিও
আল্লাহর নিদর্শনসমূহের একটি যে তোমরা দেখতে পাও ভূমি শুষ্ক শস্যহীন পড়ে আছে। অতঃপর আমি
যেই মাত্র সেখানে পানি বর্ষণ করি অকস্মাৎ তা অঙ্কুরোদগমে সুসজ্জিত হয়ে ওঠে। যে আল্লাহ
এই মৃত ভূমিকে জীবন্ত করে তোলেন, নিশ্চিতভাবেই তিনি
মৃতদেরকেও জীবন দান করবেন।৪৭ নিশ্চয়ই
তিনি সব কিছু করতে সক্ষম।
﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ
يُلْحِدُونَ فِىٓ ءَايَـٰتِنَا لَا يَخْفَوْنَ عَلَيْنَآ ۗ أَفَمَن يُلْقَىٰ فِى
ٱلنَّارِ خَيْرٌ أَم مَّن يَأْتِىٓ ءَامِنًۭا يَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ ۚ ٱعْمَلُوا۟
مَا شِئْتُمْ ۖ إِنَّهُۥ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ﴾
৪০। যারা৪৮ আমার
আয়াতসমূহের উল্টা অর্থ করে৪৯ তারা
আমার অগোচরে নয়।৫০ নিজেই চিন্তা করে দেখো যে ব্যক্তিকে আগুনে
নিক্ষেপ করা হবে সেই ব্যক্তিই ভাল, না যে ব্যক্তি কিয়ামতের
দিন নিরাপদ অবস্থায় হাজির হবে সে-ই ভালো? তোমরা যা চাও করতে
থাকো, আল্লাহ তোমাদের সব কাজ দেখছেন।
﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ
كَفَرُوا۟ بِٱلذِّكْرِ لَمَّا جَآءَهُمْ ۖ وَإِنَّهُۥ لَكِتَـٰبٌ عَزِيزٌۭ﴾
৪১। এরা সেই সব
লোক যাদের কাছে উপদেশ বাণী আসলে মানতে অস্বীকার করেছে। কিন্তু
বাস্তব এই যে, এটি একটি মহা শক্তিশালী গ্রন্থ।৫১
﴿لَّا يَأْتِيهِ
ٱلْبَـٰطِلُ مِنۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِۦ ۖ تَنزِيلٌۭ مِّنْ حَكِيمٍ
حَمِيدٍۢ﴾
৪২। বাতিল না
পারে সামনে থেকে এর ওপর চড়াও হতে না পারে পেছন থেকে।৫২ এটা
মহাজ্ঞানী ও পরম প্রশংসিত সত্তার নাযিলকৃত জিনিস।
﴿مَّا يُقَالُ لَكَ
إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ ۚ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍۢ
وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍۢ﴾
৪৩। হে নবী, তোমাকে যা
বলা হচ্ছে তার মধ্যে কোন জিনিসই এমন নেই যা তোমার পূর্ববতী রাসূলদের বলা হয়নি।
নিঃসন্দেহে তোমার রব বড় ক্ষমাশীল৫৩ এবং অতীব
কষ্টদায়ক শাস্তিদাতাও বটে।
﴿وَلَوْ جَعَلْنَـٰهُ
قُرْءَانًا أَعْجَمِيًّۭا لَّقَالُوا۟ لَوْلَا فُصِّلَتْ ءَايَـٰتُهُۥٓ ۖ
ءَا۬عْجَمِىٌّۭ وَعَرَبِىٌّۭ ۗ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ هُدًۭى
وَشِفَآءٌۭ ۖ وَٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِىٓ ءَاذَانِهِمْ وَقْرٌۭ وَهُوَ
عَلَيْهِمْ عَمًى ۚ أُو۟لَـٰٓئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍۭ بَعِيدٍۢ﴾
৪৪। আমি যদি
একে আজমী কুরআন বানিয়ে পাঠাতাম তাহলে এসব লোক বলতো, এর আয়াত সমূহ
সুস্পষ্ট করে বর্ণনা করা হয়নি কেন? কি আশ্চর্য কথা, আজমী বাণীর শ্রোতা আরবী ভাষাভাষী৫৪ এদের বলো,
এ কুরআন মু’মিনদের জন্য হিদায়াত ও রোগমুক্তি বটে। কিন্তু
যারা ঈমান আনে না এটা তাদের জন্য পর্দা ও চোখের আবরণ। তাদের
অবস্থা হচ্ছে এমন যেন দূর থেকে তাদেরকে ডাকা হচ্ছে।৫৫
﴿وَلَقَدْ ءَاتَيْنَا
مُوسَى ٱلْكِتَـٰبَ فَٱخْتُلِفَ فِيهِ ۗ وَلَوْلَا كَلِمَةٌۭ سَبَقَتْ مِن
رَّبِّكَ لَقُضِىَ بَيْنَهُمْ ۚ وَإِنَّهُمْ لَفِى شَكٍّۢ مِّنْهُ مُرِيبٍۢ﴾
৪৫। এর আগে আমি
মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম। সে কিতাব নিয়েও এই মতানৈক্য
হয়েছিলো৫৬ তোমার রব যদি পূর্বেই একটি বিষয়
ফায়সালা না করে থাকতেন তাহলে এই মতানৈক্যকারীদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
কার্যকরী করা হতো।৫৭ প্রকৃত
ব্যাপার হলো, এসব লোক সে ব্যাপারে চরম অস্বস্তিকর সন্দেহে
নিপতিত।৫৮
﴿مَّنْ عَمِلَ صَـٰلِحًۭا
فَلِنَفْسِهِۦ ۖ وَمَنْ أَسَآءَ فَعَلَيْهَا ۗ وَمَا رَبُّكَ بِظَلَّـٰمٍۢ
لِّلْعَبِيدِ﴾
৪৬। যে নেক কাজ
করবে সে নিজের জন্যই কল্যাণ করবে। আর যে
দুষ্কর্ম করবে তার মন্দ পরিণাম তাকেই ভোগ করতে হবে। তোমার রব
বান্দাদের জন্য জালেম নন।৫৯
﴿إِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ
ٱلسَّاعَةِ ۚ وَمَا تَخْرُجُ مِن ثَمَرَٰتٍۢ مِّنْ أَكْمَامِهَا وَمَا تَحْمِلُ
مِنْ أُنثَىٰ وَلَا تَضَعُ إِلَّا بِعِلْمِهِۦ ۚ وَيَوْمَ يُنَادِيهِمْ أَيْنَ
شُرَكَآءِى قَالُوٓا۟ ءَاذَنَّـٰكَ مَا مِنَّا مِن شَهِيدٍۢ﴾
৪৭। সেই সময়ের৬০ জ্ঞান আল্লাহর
কাছেই ফিরে যায়৬১ এবং সেসব
ফল সম্পর্কেও তিনিই অবহিত যা সবে মাত্র তার কুঁড়ি থেকে বের হয়। তিনিই
জানেন কোন মাদি গর্ভধারণ করেছে এবং কে বাচ্চা প্রসব করেছে।৬২ যে দিন
তিনি এসব লোকদের ডেকে বলবেন, “আমার সেই সব শরীকরা কোথায়?”
তারা বলবেঃ আমরা তো বলেছি, আজ আমাদের কেউ-ই এ
সাক্ষ্য দিবে না।৬৩
﴿وَضَلَّ عَنْهُم مَّا
كَانُوا۟ يَدْعُونَ مِن قَبْلُ ۖ وَظَنُّوا۟ مَا لَهُم مِّن مَّحِيصٍۢ﴾
৪৮। তখন সেই সব
উপাস্যের সবাই এদের সামনে থেকে উধাও হয়ে যাবে যাদের এরা ইতিপূর্বে ডাকতো।৬৪ এসব লোক বুঝতে পারবে এখন তাদের জন্য কোন আশ্রয়স্থল
নেই।
﴿لَّا يَسْـَٔمُ
ٱلْإِنسَـٰنُ مِن دُعَآءِ ٱلْخَيْرِ وَإِن مَّسَّهُ ٱلشَّرُّ فَيَـُٔوسٌۭ
قَنُوطٌۭ﴾
৪৯। কল্যাণ
চেয়ে দোয়া করতে মানুষ কখনো ক্লান্ত হয় না।৬৫ আর যখন
কোন অকল্যাণ তাকে স্পর্শ করে তখন সে হতাশ ও মনভাঙ্গা হয়ে যায়।
﴿وَلَئِنْ أَذَقْنَـٰهُ
رَحْمَةًۭ مِّنَّا مِنۢ بَعْدِ ضَرَّآءَ مَسَّتْهُ لَيَقُولَنَّ هَـٰذَا لِى
وَمَآ أَظُنُّ ٱلسَّاعَةَ قَآئِمَةًۭ وَلَئِن رُّجِعْتُ إِلَىٰ رَبِّىٓ إِنَّ
لِى عِندَهُۥ لَلْحُسْنَىٰ ۚ فَلَنُنَبِّئَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِمَا
عَمِلُوا۟ وَلَنُذِيقَنَّهُم مِّنْ عَذَابٍ غَلِيظٍۢ﴾
৫০। কিন্তু
কঠিন সময় কেটে যাওয়ার পর যেই মাত্র আমি তাকে আমার রহমতের স্বাদ চাখাই সে বলতে থাকে, আমি তো এরই
উপযুক্ত।৬৬ আমি মনে
করিনা কিয়ামত কখনো আসবে। তবে সত্যিই যদি আমাকে আমার
রবের কাছে নিয়ে হাজির করা হয়, তাহলে সেখানেও আমার জন্য
থাকবে মজা করার উপকরণসমূহ। অথচ আমি
নিশ্চিতরূপেই কাফেরদের জানিয়ে দেব তারা কি কাজ করে এসেছে। আর
তাদেরকে আমি অত্যন্ত জঘন্য শাস্তির মজা চাখাবো।
﴿وَإِذَآ أَنْعَمْنَا
عَلَى ٱلْإِنسَـٰنِ أَعْرَضَ وَنَـَٔا بِجَانِبِهِۦ وَإِذَا مَسَّهُ ٱلشَّرُّ
فَذُو دُعَآءٍ عَرِيضٍۢ﴾
৫১। আমি যখন
মানুষকে নিয়ামত দান করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং গর্বিত হয়ে ওঠে।৬৭ কিন্তু যখনই কোন অকল্যাণ তাকে স্পর্শ করে
তখন লম্বা চওড়া দোয়া করতে শুরু করে।৬৮
﴿قُلْ أَرَءَيْتُمْ إِن
كَانَ مِنْ عِندِ ٱللَّهِ ثُمَّ كَفَرْتُم بِهِۦ مَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ هُوَ فِى
شِقَاقٍۭ بَعِيدٍۢ﴾
৫২। হে নবী, এদের বলে দাও,
তোমরা কি কখনো একথা ভেবে দেখেছো যে, সত্যিই এ
কুরআন যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে এসে থাকে আর তোমরা তা অস্বীকার করতে থাকো তাহলে সেই
ব্যক্তির চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে হবে যে এর বিরোধিতায় বহুদূর অগ্রসর হয়েছে।৬৯
﴿سَنُرِيهِمْ
ءَايَـٰتِنَا فِى ٱلْـَٔافَاقِ وَفِىٓ أَنفُسِهِمْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَهُمْ
أَنَّهُ ٱلْحَقُّ ۗ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُۥ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ
شَهِيدٌ﴾
৫৩। অচিরেই আমি
এদেরকে সর্বত্র আমার নিদর্শনসমূহ দেখাবো এবং তাদের নিজেদের মধ্যেও। যাতে এদের
কাছে একথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এ কুরআন যথার্থ সত্য৭০ এটাই কি
যথেষ্ঠ নয় যে, তোমার রব প্রতিটি জিনিস দেখছেন?৭১
﴿أَلَآ إِنَّهُمْ فِى
مِرْيَةٍۢ مِّن لِّقَآءِ رَبِّهِمْ ۗ أَلَآ إِنَّهُۥ بِكُلِّ شَىْءٍۢ مُّحِيطٌۢ﴾
৫৪। জেনে রাখো, এসব লোক
তাদের রবের সাথে সাক্ষাত সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে।৭২ শুনে
রাখো, তিনি সব জিনিসকে পরিবেষ্টন করে আছেন।৭৩
--- সমাপ্ত ---
কোন মন্তব্য নেই
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।